মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নদিয়ায় এসে ফের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক সভায় নদিয়ার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়াকে মমতা সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘রানাঘাট, তাহেরপুরে খুন হচ্ছে। ভাড়াটে গুন্ডা এসে খুন করে ও পারে বাংলাদেশে চলে যাচ্ছে। কেন পুলিশের কাছে খবর থাকছে না, কেন গোয়েন্দারা ফেল করবে?’’
ঘটনাচক্রে, রবিবার রাতে চাকদহে প্রকাশ্য মঞ্চে আততায়ীর গুলিতে খুন হয়েছেন যুব তৃণমূলের এক কর্মী। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর বিরক্তির পারদ এক কাঠি চড়েছে। গত বছর এপ্রিলে যখন মমতা শেষ বার নদিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসেন, সে বারও তাঁর আসার ঠিক আগেই বগুলায় খুন হন তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাস। সে বারও পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মমতা। কেন বেছে-বেছে তাঁদের দলের লোকেদের খুন হতে হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এ বারও মমতা বলেন, ‘‘আমাদের লোকেদের খুন করা হচ্ছে।’’ শুধু পুলিশ নয়, দলের বিধায়কদেরও এর জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। মমতার প্রশ্ন, ‘‘জনপ্রতিনিধিরাই বা খবর রাখবেন না কেন? এখানে দু’শো টাকার জন্য খুন করে বলে শুনেছি। জলভাত হয়ে গিয়েছে। মাঝে কমে গিয়েছিল, গত এক বছর ধরে দেখছি, আবার বেড়েছে।’’
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নবাণের মুখে পড়ে পুলিশ সুপার প্রথম দিকে একটু-আধটু বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ধমক খেয়ে পরে চুপ করে যান। মমতা তাঁর কাছে জানতে চান, ‘‘এই সব খুনের ঘটনায় অ্যারেস্ট হয়েছে?’’ সব ক্ষেত্রেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন।