গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
দুর্যোগে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি দেখে বুধবার দুপুরে কলকাতায় ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরে আবার জানিয়ে দিলেন, পরের সপ্তাহেও তিনি উত্তরবঙ্গে যাবেন। আটকে থাকা পর্যটকদের ফেরানোর ব্যবস্থা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা ক্ষোভপ্রকাশ করলেন বিমান সংস্থাগুলির অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে।
দুর্যোগের দিন থেকে বাগডোগরা থেকে ছাড়া বিমানের ভাড়া যে হারে বেড়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দিকেও আঙুল তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘‘বাগডোগরা থেকে কলকাতার বিমানভাড়া বাড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এটা বৈষম্য নয়?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিহারের ভোটের জন্য ছটপুজোর সময়ে বিমান ভাড়া বৃদ্ধি না-করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। এখানেও ছটপুজো হয়। কিন্তু দুর্যোগের মধ্যে কেন বৃদ্ধি করা হল?’’ নাম না-করে এ ব্যাপারে বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন মমতা।
উত্তরবঙ্গের দুর্যোগে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৭ জনের। তার বাইরে বেশ কয়েক জন নিখোঁজ। সোমবার উত্তরবঙ্গে রওনা হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা এবং এক জনকে চাকরি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়েছে। পরের সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে চাকরিতে নিয়োগপত্র দেওয়ার আনুষ্ঠানিক কাজটি করবেন।
মমতা জানিয়েছেন, নাগরাকাটায় নতুন সেতু তৈরির কাজ চলছে। মিরিকেও সেতু মেরামতের কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। রাস্তা ভাঙা থাকায় বিকল্প পথও চালু করা গিয়েছে। এক হাজারের বেশি পর্যটককে পাহাড়, ডুয়ার্স থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা।
আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের প্রথম সারির ১০ জন আমলা ত্রাণের কাজ এবং পরিকাঠামো মেরামতির কাজ তদারকি করবেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলার মন্ত্রীদের পাশাপাশি অন্যদেরও দুর্যোগবিধ্বস্ত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো বুধবার রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী পৌঁছেছেন আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন এলাকায়। প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে পাঠানো হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি এলাকায়।