গাঁধীর জন্মজয়ন্তীতে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

আগামী বছর মহাত্মা গাঁধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উৎসবের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা এক বছর আগে থেকেই সেই কাজ শুরু করে দিলাম। বেলেঘাটার যে ভবনে তিনি ছিলেন, তার সংস্কার করা হবে। সেখানে গাঁধী সংগ্রহশালা করা হবে। এর জন্য সরকার সাড়ে তিন কোটি টাকা দেবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা  

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৫:০০
Share:

শ্রদ্ধা: বেলেঘাটায় গাঁধী ভবন সংলগ্ন চত্বরে গাঁধী জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার। ছবি: সুমন বল্লভ

ধর্মান্ধতা দিয়ে বাংলার মাটি কেনা যায় না এবং যাবেও না বলে কড়া স্বরে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর জন্মদিনে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত বেলেঘাটা গাঁধী ভবনের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলার মাটিতে সভ্যতার বীজ বপন করা হয়। যা ছড়িয়ে পড়ে দেশে, বিদেশে। বাংলার সহনশীলতা, সভ্যতা, সংস্কৃতি, শিক্ষাকে তাই কুর্নিশ করে সারা বিশ্ব।’’

Advertisement

আগামী বছর মহাত্মা গাঁধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উৎসবের কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা এক বছর আগে থেকেই সেই কাজ শুরু করে দিলাম। বেলেঘাটার যে ভবনে তিনি ছিলেন, তার সংস্কার করা হবে। সেখানে গাঁধী সংগ্রহশালা করা হবে। এর জন্য সরকার সাড়ে তিন কোটি টাকা দেবে।’’ অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে মহাত্মা গাঁধী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাসও করেন মমতা। জানান, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও গাঁধীজির নামে ‘চেয়ার’ সৃষ্টি করার কথাও ঘোষণা করেন। তা ছাড়া রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর গাঁধীজির নামে মেধাবী ভাতা চালু করবে।

এ দিন বিকেল পাঁচটার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছে যান গাঁধীভবনে। ঘুরে দেখেন ভবন। পরে অনুষ্ঠান মঞ্চে ঢুকে গাঁধীজির প্রতিকৃতিতে ফুল দেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের জন্য সেজে উঠেছিল পুরো চত্বর। মঞ্চের অনুষ্ঠান শুরু হয় গাঁধীজির প্রিয় ‘রঘুপতি রাঘব, রাজা রাম’ গানের মধ্য দিয়ে। তাতে গলা মেলান মমতাও। হাজির ছিলেন কলকাতার দুই সাংসদ-সহ শহরের বাসিন্দা রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা। মমতা বলেন, ‘‘বাংলার মেধাকে অনেকেই ঈর্ষা করে। আসলে বাংলা এগিয়ে থাকে। এগিয়ে বাংলা পথ দেখায়।’’

Advertisement

গাঁধীজির ডান্ডি অভিযানের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সে রকমই এক অভিযান আগামী বছর ২ অক্টোবর গাঁধীজির জন্মদিনে করা হবে। কোথা থেকে শুরু হয়ে কোথায় যাবে, তা এখনই বলতে পারছি না। তবে সে দিন বাংলায় বড় অভিযান হবে। বাংলাকে এক রাখতে যা করা দরকার, তাই করবে বাংলার মানুষ। গাঁধীজির জন্মদিনে এটাই তাঁদের ‘ব্রত’ বলে জানান মমতা। বেলেঘাটায় রাজনৈতিক গন্ডগোলের কথা অজানা নয় মুখ্যমন্ত্রীর। হয়তো দলের লোকেদের সেই বার্তা দিতেই মমতা বলেন, ‘‘এখানে যাঁরা রাজনৈতিক নেতা-কর্মী আছে, তাঁরা প্রতিদিন গাঁধী ভবনে নমস্কার করবেন আর নিজেকে সেই ভাবে তৈরি করবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন