জনসমাবেশ: ২১ জুলাইয়ের সভায়। শুক্রবার ধর্মতলার মোড়ে।— নিজস্ব চিত্র।
সারদা-নারদে দুর্নীতির অভিযোগ যতই উঠুক, তৃণমূল নেত্রী মনে করেন তাঁর দলের কেউ দোষী নন। শুক্রবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে এই কথা ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত জানিয়ে দিলেন, নেতাদের টাকা নেওয়ার ছবিকে দুর্নীতি বলে মানতে নারাজ তিনি। মমতার কথায়, ‘‘স্টিং অপারেশনের কোনও ভ্যালু নেই।’’
ইদানীং তৃণমূল নেতাদের প্রায় একই সঙ্গে তলব করা শুরু করেছে সিবিআই এবং ইডি। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এ সবই তাঁদের সম্মানহানি করার চক্রান্ত। তিনি বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছর ধরে সারদা-নারদের তদন্ত চলছে! কেন মামলা শেষ হচ্ছে না? একুশে জুলাই আসছে। ভাবছে ওদের একটু একটু করে ডাকি, তা হলে অসম্মান করতে পারব! মামলা যদি ঠিক মতো না হয় তো হাজার হাজার কোটির মানহানির মামলা করব।’’
এই ‘লড়কে লেঙ্গে’ মনোভাবে চাঙ্গা নেতা-মন্ত্রীরা। এ দিন মঞ্চে সিবিআই-ইডির ডাক পাওয়া নেতারা ছিলেন। রোজ ভ্যালি মামলায় জামিনে ছা়ড়া পাওয়া সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মোদী-বিরোধী রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ায় টার্গেট করা হচ্ছে।’’ নারদ-অভিযুক্ত তিন মন্ত্রী— সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী এবং ফিরহাদ হাকিম বক্তৃতা করেন। ভাষণ না দিলেও সমাবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, ‘‘রাজস্থান সরকারের দুর্নীতি, কর্নাটকে রেড্ডি ভাই, মধ্যপ্রদেশে ব্যাপম, গুজরাতে পেট্রোলিয়াম— কোথায় সিবিআই? কোথায় ইডি? কোথায় ইনকাম ট্যাক্স?’’ বিজেপি-কে মমতার চ্যালেঞ্জ, তাঁদের ১৩ জনকে গ্রেফতার করলে করলে ৩১ লক্ষ নতুন কর্মী তৈরি হয়ে যাবে।