হাওয়া অফিসের থার্মোমিটারে যেন সাপ-লুডোর খেলা চলছে!
ক’দিন আগেই কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এক লাফে উঠে গিয়েছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। পরের দিনই তা এক ধাক্কায় ১৪ ডিগ্রিতে নেমে এসেছিল। তার পরে ওঠা-নামা করতে করতে রবিবার পারদ থিতু হয়েছে ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। আবহবিদদের ধারণা, আজ, সোমবার ফের সামান্য চড়তে পারে পারদ। সকালে মিলতে পারে হাল্কা কুয়াশাও।
পারদ পতনে শীতপ্রেমীদের অনেকে আশার আলো দেখেছিলেন। ভরা মাঘে বাঘা শীত না হোক, অল্প-বিস্তর কাঁপুনির আশায় বুক বাঁধছিলেন। কিন্তু আবহবিদদের একাংশ বলছেন, তেমন শীতের আশা কিন্তু নেই। বরং আবহাওয়ার নিয়ম মেনে চললে প্রবীণ শীত ধীরে ধীরে পাততাড়ি গুটোনোর পথেই এগোচ্ছে। শুধু তাই নয়, আবহবিদদের অনেকে এ-ও বলছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে শীত যে ফিরে আসবে, সেই আশা কিন্তু কম।
প্রবীণদের অনেকে বলছেন, আগে কলকাতার তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ধারে-কাছে পৌঁছলেই বেশ কাঁপুনি মিলত। কিন্তু, গত কয়েক বছর ধরে সেই দাপট কম। রবিবার যেমন দিনে অনেককেই সোয়েটার ছাড়া ঘুরতে দেখা গিয়েছে। পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন, উত্তুরে হাওয়ার দাপট কম। তার উপরে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের ফলেও শীতের দাপট কমছে। কারণ, কার্বন কণা তাপ শোষণ করে বাতাসকে গরম করে তুলছে। তার ফলে শীতের যে অনুভূতি, তা কম মালুম হচ্ছে। এক পরিবেশবিজ্ঞানীর কথায়, কলকাতায় ১৪ ডিগ্রিতে যতটা শীত লাগে, দেখা যাবে কম দূষিত গ্রামাঞ্চলে একই তাপমাত্রায় শীতের অনুভূতি অনেক বেশি।