Freedom Fighter Kshudiram Bose

ক্ষুদিরামের ফাঁসির তারিখে মমতার তোপ ‘অপমান’ নিয়ে, ইতিহাস পাঠ্যক্রমে ‘মর্যাদাহানি’ শহিদের, পাল্টা তোপ বিজেপির

মুখ্যমন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) সোমবার লিখেছেন, ‘‘সম্প্রতি একটি হিন্দি ছবিতে বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ‘সিং’ বলা হয়েছে। স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের অপমান করা হচ্ছে কেন?’’

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ১৯:২৮
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসির তারিখকে ঘিরেও রাজনৈতিক চাপানউতোর দেখল বাংলা। বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিজেপি ‘ভাষা সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে বলে যে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলতে শুরু করেছেন, সেই সুর বহাল রেখেই সোমবার তিনি সমাজমাধ্যমে লিখলেন, ‘‘অমর বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ধরেও টানাটানি করবে ভাষা সন্ত্রাসীরা?’’ উল্টো দিকে বিজেপির আইটি সেলের সর্বভারতীয় প্রধান অমিত মালবীয় অভিযোগ করলেন, ক্ষুদিরামকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী নিজের এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) সোমবার লিখেছেন, ‘‘সম্প্রতি একটি হিন্দি ছবিতে বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ‘সিং’ বলা হয়েছে। স্বাধীনতার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের অপমান করা হচ্ছে কেন? পথিকৃৎ অমর বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে ধরেও টানাটানি করবে ভাষা-সন্ত্রাসীরা?’’

অক্ষয় কুমার অভিনীত একটি বলিউডি ছবিতে সম্প্রতি বিপ্লবী ক্ষুদিরামের চরিত্র চিত্রণ হয়েছে। তাতে ক্ষুদিরামের পদবী ‘সিংহ’ দেখানো হয়েছে। ছবি মুক্তির সময়েই তা নিয়ে একদফা বিতর্ক হয়েছিল। ক্ষুদিরামের ফাঁসির তারিখে সে বিতর্ক আবার টেনে এনেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। লিখেছেন, ‘‘আমাদের মেদিনীপুরের অদম্য কিশোরকে দেখানো হয়েছে পাঞ্জাবের ছেলে হিসেবে। অসহ্য!’’

Advertisement

বিজেপি-ও পিছিয়ে থাকেনি। মালবীয় লিখেছেন, ‘‘নির্ভীক বিপ্লবী ক্ষুদিরামের আত্মত্যাগ ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে উজ্জীবিত করেছিল, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় তাঁর উত্তরাধিকারকে অপবিত্র করা হচ্ছে।’’ বঙ্গ বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পর্যবেক্ষক মালবীয় আরও লিখেছেন, ‘‘তাঁর (মমতার) রাজত্বে অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বই এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকীর মর্যাদাহানি ঘটিয়ে তাঁদেরকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দিয়েছে।’’ মালবীয় আরও লিখেছেন, ‘‘তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ছুটি ঘোষণা করার জন্য সরকার পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে চাপ দেওয়া হলেও ক্ষুদিরামের স্মৃতিতে কোনও ছুটির দিন রাখা হয়নি।’’

মমতা অবশ্য নিজের পোস্টে বিশদে লিখেছেন যে, ক্ষুদিরামের স্মৃতিতে এবং ‘সম্মানে’ তাঁর সরকার কী কী করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্মৃতি বিজড়িত মহাবনী ও সংলগ্ন অঞ্চলের আরো বেশি উন্নয়নের জন্য মহাবনী ডেভেলপমেন্ট অথরিটি করেছি। এছাড়া মহাবনীতে শহিদ ক্ষুদিরামের মূর্তি স্থাপন থেকে শুরু করে পাঠাগার সংস্কার, নতুন একটি সুবিশাল অডিটোরিয়াম, কনফারেন্স রুম— সবই করা হয়েছে। একটি মুক্তমঞ্চও করা হয়েছে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য নির্মিত হয়েছে আধুনিক কটেজ, ঐতিহ্যবাহী ক্ষুদিরাম পার্কের পুনরুজ্জীবন করা হয়েছে। পুরো এলাকাটাকে আলো দিয়ে সাজানোও হয়েছে। শুধু তাঁর জন্মস্থান মেদিনীপুরেই নয়, এই মহান বিপ্লবীকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় একটি মেট্রো স্টেশনের নামও আমরা তাঁর নামে রেখেছি। আমরা গর্বিত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement