একটাও ম্যাচ না খেলেই চ্যাম্পিয়ন! বাকি সকলে ওয়াকওভার দিয়ে বসে আছে।
কেন? ঠারেঠোরে সকলেই বলছে, ভয়ে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর তরুণ সঙ্ঘ বয়েজ ক্লাবের ছেলেদের যে গালিগালাজ-গুন্ডামিতে খুব নামডাক! কখনও রেফারিকে মারধর করে লাল কার্ড ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করা, তো কখনও খেলোয়াড়কে মাঠ বাইরে বের করে মারধর, বেশি বয়সের খেলোয়াড়কে খেলতে দিতে বাধ্য করা— যে ভাবে হোক তারা জিতবেই। অভিযোগ অন্তত এমনটাই।
সদ্য কৃষ্ণনগর জোনাল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত জুনিয়র লিগে মোট ছ’টি খেলা পড়েছিল বাঘাডাঙার এই বয়েজ ক্লাবের। চারটি লিগ পর্যায়ে, এ ছাড়া সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। প্রতিপক্ষেরা পিছিয়ে যাওয়ায় সব খেলাই ভেস্তে গিয়েছে।
ফাইনাল খেলতে রাজি হয়নি শহরের নামী ক্লাব কৃষ্ণনগর সেন্ট্রাল ক্লাব। ক’দিন আগে তারা সাব জুনিয়র লিগে বয়েজ ক্লাবের কাছে ফাইনালে হেরেছে তারা। সেন্ট্রাল ক্লাবের সম্পাদক সুজনসারথি কর বলেন, “খেলার পরিবেশটাই তো নেই। ওদের সঙ্গে খেলতে খেলোয়াড়রা ভয় পায়। মাঠে নামতেই রাজি হয় না।”
আরও পড়ুন
মাথাপিছু সত্তর টাকা, জুটছে না জার্সিও
সেমিফাইনালে খেলেনি কৃষ্ণনগর টাউন ক্লাব। সেই ক্লাবের সম্পাদক পরিতোষ রায় বলেন, “নির্দিষ্ট সময়ের দেড় ঘণ্টা পরে ওরা মাঠে এল। জোনাল স্পোর্টস কর্তারা বললেন, ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১৫ মিনিট করে খেলা হবে। আমরা কেন খেলব বলতে পারেন?” জোনাল কর্তাদের এক অংশের দাবি, এই সিদ্ধান্ত নিতে তাদের একপ্রকার বাধ্য করা হয়েছিল।
এমন একটা ক্লাবের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না জেলা ক্রীড়া সংস্থা? নদিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি মৃণালকান্তি বিশ্বাস বলেন, “কী করে ব্যবস্থা নিই বলুন তো? কোনও ক্লাবই ওদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দেয় না।”
বিভিন্ন ক্লাবের সদস্য থেকে ক্রীড়া সংস্থার কর্তাদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, বাঘাডাঙার ওই ক্লাবে যে এক দল গুন্ডা গোছের ছেলে আছে। তাদের মাথায় আছে শাসক দলের বহু নেতার ছায়া। কৃষ্ণনগর তরুণ সঙ্ঘ বয়েজ ক্লাবের সহ-সম্পাদক কৌশিক মণ্ডল অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘আমরা গণ্ডগোলই করি না। আমাদের সঙ্গে খেলে জিততে পারে না বলেই ওরা বদনাম দিচ্ছে!’’