টিএমসিপি-র দুই দলে ঝগড়া

দলীয় নেতৃত্বের ঐক্যের বার্তা উপেক্ষা করে তাঁদের সামনেই মারমুখী বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-র নেতা-নেত্রীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৮ ০৩:২২
Share:

দলীয় নেতৃত্বের ঐক্যের বার্তা উপেক্ষা করে তাঁদের সামনেই মারমুখী বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-র নেতা-নেত্রীরা।

Advertisement

বারাসতে শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি সম্মেলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঐক্যের কড়া বার্তা দিচ্ছিলেন তৃণমূল নেতারা। বলছিলেন, পঞ্চায়েতে দলীয় প্রার্থী কানা-খোঁড়া, যা-ই হোন, ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাঁকেই জেতাতে হবে। ঠিক সেই সময়ে তাঁদের সামনেই মঞ্চে ওঠা নিয়ে গোলমাল বাধে টিএমসিপি-র দুই পক্ষের মধ্যে। এক পক্ষে সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্ত, জেলা সভাপতি পারমিতা সেন এবং তাঁদের অনুগামীরা। অন্য পক্ষে দেগঙ্গার যুব নেতা অজয় বৈদ্য, আনিসুর রহমান এবং তাঁদের সমর্থকেরা। দু’পক্ষই পরস্পরের উদ্দেশে গালিগালাজ করে, মারতেও যায়। পরে নেতারা দু’পক্ষকে আলাদা করে দেন। কিন্তু সভার মধ্যে এমন ঘটনায় বিব্রত তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে পার্থবাবু বলেন, ‘‘শাখা সংগঠন যদি দলকে বিব্রত করে, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

গত কয়েক বছর ধরেই বারাসত কলেজ (সান্ধ্য), বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজ, দেগঙ্গার শহীদুল্লাহ কলেজ তৃণমূল ছাত্র-যুবর গোষ্ঠীকোন্দল এবং সংঘর্ষের জেরে খবরের শিরোনামে এসেছে। তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থবাবু দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেছেন। তাদের ধমকও দিয়েছেন। কিন্তু তাতে লাভ যে হয়নি, তা ফের প্রমাণ হয়ে গেল।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন