বড়মাকে নিয়ে শবযাত্রা।—নিজস্ব চিত্র।
মতুয়া মহাসঙ্ঘের ‘বড়মা’ বীণাপাণি দেবীর শেষকৃত্য ঘিরে কোন্দল তাঁর পরিবারের ভিতরেই। বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বড়মার। তার আগে দুপুর ৩টে নাগাদ দেওয়া হয় গান স্যালুটও।
বড়মাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই ঠাকুরবাড়িতে ভিড় জমিয়েছিলেন ভক্তরা। তবে এই শোকের মুহূর্তেও ঠাকুরবাড়ির পারিবারিক কোন্দল চোখে পড়ে দিনভর।
গত বৃহস্পতিবার বড়মাকে হাসপাতালে ভর্তি করা নিয়ে তাঁর পুত্রবধূ তথা বনগাঁর তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয়, বড়মার ছোট ছেলে মঞ্জুল ঠাকুরের ছেলে তথা মতুয়া মহাসঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুরের। বড়মার মৃত্যুর পরও দুই পক্ষের মধ্যে টানাপড়েন অব্যাহত। এ দিন মতবিরোধ দেখা দেয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময় নির্ধারণ নিয়ে।
মঙ্গলবার রাতে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বড়মা। যার পর বুধবার হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঠাকুরনগরের মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে। সেই থেকে ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরেই শায়িত ছিল বড়মার দেহ। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো সকাল ১০টা নাগাদ নাটমন্দির থেকে বড়মাকে নিয়ে শবযাত্রা শুরু হয়। কিন্তু শান্তনু ঠাকুরের আপত্তিতে অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন করা যায়নি। যার জেরে শবযাত্রা ফের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নাটমন্দিরে।
এখানেই দাহ করা হবে বড়মাকে।—নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: প্রয়াত বড়মা বীণাপাণি দেবী, মতুয়া মহাসঙ্ঘে শোকের ছায়া
আরও পড়ুন: বড়মাকে মরণোত্তর ডিলিট নয়, সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের
শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়েই শেষযাত্রা শুরু করে দেওয়া হয়। তবে সেই অভিযোগ খারিজ করেন মমতাবালা। নাটমন্দিরে গোটা পরিবার একসঙ্গে বড়মাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বলে দাবি তাঁর। সকলের উপস্থিতিতে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে শ্বশুরমশাইয়ের স্মৃতিমন্দিরের পিছনেই বড়মার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সারা হবে বলে ঘোষণাও করেন তিনি। তাঁর কথা মতো এ দিন বিকেলে সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বড়মার।
(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাংলায় খবর জানতে পড়ুন আমাদের রাজ্য বিভাগ।)