ফাইল চিত্র।
এক দল রোহিঙ্গা ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাইছেন, এমন একটি ভিডিয়ো ক্লিপিং রবিবার দুপুরে ছড়িয়ে পড়ে। দাবি করা হয়, রবিবার সকালেই রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওই দলটি আচমকা উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা সীমান্তে হাজির হন।
রবিবার আনন্দবাজারের হাতে যে ভিডিয়োটি এসে পৌঁছেছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, ঘোজাডাঙা সীমান্তে পৌঁছনো এক অল্পবয়সি যুবক, নিজেকে রোহিঙ্গা মুসলিম পরিচয় দিয়ে দাবি করছেন, যে দিল্লিতে তাঁরা যেখানে ছিলেন, সেখানে ‘কিছু লোক’ আর তাঁদের থাকতে দিচ্ছে না। তাঁদের আস্তানা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেই ভিডিয়োতেই বলা হয়েছে, দলে রয়েছেন মোট ৩২ জন। বেশির ভাগই মহিলা ও শিশু। সাবালকের সংখ্যা ১৯। তাঁদের সঙ্গে অল্প কিছু বিছানাপত্রও রয়েছে।
একটি সূত্রের দাবি, প্রায় দেড় বছর আগে নাকি মায়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছিল ওই দলটি। কী করে তাঁরা দিল্লি পৌঁছেছিলেন, তা পরিষ্কার জানা যায়নি। প্রায় ছ’মাস আগে সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গা মুসলিমরা ঢুকে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। তার পর থেকে তাঁদের রাখা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। দেড়-দু’বছর আগে রোহিঙ্গাদের অনেকে ভারতে ঢুকে আলাদা আলাদা ভাবে জম্মু ও হরিয়ানায় আশ্রয় নেন। সূত্রের দাবি, রবিবারের এই দলটি বাংলাদেশের কক্সবাজারে যেতে চান বলে ঘোজাডাঙা সীমান্তে পৌঁছন। এমনকি, এঁদের মধ্যে এক জনের কাছে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি পরিচয়পত্র রয়েছে বলেও খবর এসেছে। অভিযোগ, এঁরা রবিবার সকালে ঘোজাডাঙা সীমান্তে পৌঁছলে সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাঁদের সেখান থেকে হটিয়ে দেয়।
তবে, এ খবরের কোনও সত্যতা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় পুলিশের কাছেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও নথি নেই। পুলিশের কাছেও নাকি এমন খবর এসেছে এবং সত্যি এমন কিছু হয়েছে কি না, তা রাত পর্যন্ত খুঁজে বেরিয়েছে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য বলেন, এঁরা সকলে গরু পাচারকারী। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তাড়া খেয়ে পালিয়ে গিয়েছে।