ছুটি নিয়েই বিভ্রান্তি, ছটে খোলা বহু স্কুল

একই রাজ্যে কোথাও কোথাও স্কুল বন্ধ থাকল ঠিকই, কিন্তু খোলাও থাকল অনেক জায়গায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৫:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

দু’দিন ছুটি নিয়ে একটা বিভ্রান্তি ছিলই। তবে তার থেকেও ছট পুজোয় মঙ্গলবারের ছুটির সরকারি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বেশি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ল রাজ্যের অধিকাংশ স্কুল। ছট পুজোয় স্কুল খোলা রাখতে হবে, নাকি বন্ধ থাকবে— তা ভেবেই কূল পাননি অনেক স্কুল-কর্তৃপক্ষ। তাই একই দিনে, একই রাজ্যে কোথাও কোথাও স্কুল বন্ধ থাকল ঠিকই, কিন্তু খোলাও থাকল অনেক জায়গায়।

Advertisement

কেন এই বিভ্রান্তি? এর জন্য রাজ্য সরকারের দিকেই আঙুল তুলছেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে ছুটির যে-তালিকা দেওয়া হয়, তাতে পরিষ্কার বলা থাকে, স্কুল-কর্তৃপক্ষ বছরে মোট ৬৫ দিন ছুটি দিতে পারেন। সেই তালিকায় ছট পুজো রয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে সরকারি তালিকায় এটাও বলা থাকে যে, ৬৫ দিনের হিসেব ঠিক রেখে স্কুলগুলি নিজেদের মতো করে ছুটির তালিকায় কিছু রদবদল ঘটাতেও পারে। বিশ্বকর্মা পুজো-সহ বিভিন্ন পুজো-পার্বণ ও উৎসবের জন্য নবান্ন থেকে ছুটির যে-বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লিখে দেওয়ার রীতি চালু হয়েছে। এর ফলে সেই সব ছুটির আওতায় এসে যাচ্ছে স্কুলগুলিও। কিন্তু ৬৫ দিনের হিসেব মেলাতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে স্কৃল-কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের।

এই নিয়ে যে-সমস্যা হচ্ছে, কয়েক মাস আগেই তার কথা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং স্কুলশিক্ষা দফতরকে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন কলেজিয়াম অব এএইচএম-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘ছট পুজোর দিনে অনেক জায়গায় স্কুল খোলা ছিল। বন্ধ ছিল কোথাও কোথাও। যে-সব স্কুল খোলা ছিল, তার অনেক জায়গাতেই হাজিরা অনেক কম। সব মিলিয়ে এ ভাবে একটা পঠনপাঠনের দিন নষ্ট হয়ে গেল। এই বিভ্রান্তি দূর করা দরকার।’’ এক অভিভাবকের প্রশ্ন, ‘‘সন্তানকে স্কুলে পাঠাব কি না, সেটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না। এ ভাবে সংশয়ে থাকতে হবে কেন?’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন