কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকে গুলিবিদ্ধ দুই যুবকের পরিচয় নিয়ে বিতর্কে জড়াল পুলিশ। ওই দুই যুবককে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ বলে দাবি করে তারা। যদিও সঞ্জয় দত্ত (৩০) এবং রতন সাহা (৩৫) নামে ওই দুই নিহত যুবক নানা অপরাধে একাধিক বার গ্রেফতার হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় ওই দুই যুবকের পরিবারের সদস্যরা তাদের সনাক্তও করে। তা সত্ত্বেও কেন রাত অবধি পুলিশ ওই দু’জনকে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ বলে দাবি করল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন নিহতের আত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রের খবর, কল্যাণীর গয়েশপুর ঝিলপাড় এলাকার সঞ্জয় এবং রতন মাছ চাষি বলে পরিচিত। তবে ডাকাতি ও জাল টাকা পাচারের ঘটনায় আগেও গ্রেফতার হয়েছে রতন। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত ছিল সে। পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ব্যবসার কাজে যাচ্ছে বলে বেরিয়েছিল রতন-সঞ্জয়। জগদ্দলের একটি পানশালায় ওই রাতে তাদের ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে জগদ্দল ও টিটাগড় থানার সীমানায় কয়রাপুর খালের কাছে দেহ দু’টি পড়ে থাকতে দেখে জগদ্দল থানার টহলদারি ভ্যান।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করে খুনের পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করা হয় দু’জনকে। নিহতদের ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে ময়না-তদন্তের জন্য ব্যারাকপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ প্রথমে অজ্ঞাতপরিচয় দুই যুবকের দেহ উদ্ধারের কথা বলেছিল। ট্রাক ছিনতাই করে পালানোর সময়ে দুষ্কৃতীরা চালক-খালাসিকে খুন করেছে বলেও দাবি করে তারা। তাতে পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের একাংশও বিস্মিত। তাঁদের মতে, সঞ্জয়-রতনকে না চেনার কথা নয় পুলিশের। প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ কি তথ্য গোপন করতে চাইছে?
এ দিন ফোন ধরেননি পুলিশ কমিশনার নীরজকুমার সিংহ। স্থানীয়দের বক্তব্য, শাসক দলের কিছু নেতা ও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের কয়েক জন আধিকারিকের সঙ্গে ওই দু’জনের ওঠাবসা ছিল।