দু’দিন আগেই জনজাতিদের অবরোধে বিপর্যস্ত হয়েছিল জঙ্গলমহলের রেল পরিষেবা। আন্দোলনকারী সেই সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় যেতে চায় প্রদেশ কংগ্রেস। জনজাতি সংগঠনের দাবিদাওয়া নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উপরে চাপ সৃষ্টি করা কংগ্রেস নেতৃত্বের উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গেই তাঁদের দাবি, গুজরাত বা মধ্যপ্রদেশের মতো এ রাজ্যের জনজাতি এলাকাতেও সংবিধানের পঞ্চম তফসিল চালু করা হোক।
বিধান ভবনে বুধবার প্রদেশ কংগ্রেসের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘জনজাতিদের যে প্রবল বিক্ষোভ হয়েছে দু’দিন আগে, তার মূল দাবি ছিল সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষা। মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে শিক্ষক ও বইপত্র দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এলেও কিছুই হয়নি। আমরা চাই, ওঁদের দাবিপূরণ হোক এবং তার জন্য আলোচনা হোক।’’ সংবিধান খুলে সাংসদ প্রদীপবাবু এ দিন ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, আদিবাসী এলাকার জন্য পঞ্চম তফসিল চালু করার ন্যায্য কারণ রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘প্রয়োজনে কংগ্রেস জনজাতি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলবে। তার জন্য দল গড়া হবে।’’ অন্যান্য কিছু রাজ্যে থাকলেও বাংলায় জনজাতি উপদেষ্টা পরিষদ নেই। এ রাজ্যেও তেমন পরিষদ গড়ার দাবি তুলেছে কংগ্রেস।
শিক্ষা সংক্রান্ত যে দাবিদাওয়া নিয়ে জনজাতি সংগঠন পথে নেমেছে, তাতে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে সিপিএমের ‘আদিবাসী ন্যায়বিচার মঞ্চ’ও। ওই মঞ্চের নেতা পুলিন বিহারী বাস্কের মতে, সাঁওতালি ভাষায় শিক্ষা, শিক্ষক নিয়োগ বা স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়া উচিত। তবে শিক্ষার প্রশ্নে সে দিন যে ভাবে রেল অবরোধ হয়েছিল, আন্দোলনের সেই ধরনকে সমর্থন করেনি বিরোধীরা। যদিও বিরোধী শিবিরেরই একাংশের যুক্তি, রেল অবরোধের মতো কর্মসূচিতে না গেলে প্রান্তিক মানুষের দাবির প্রতি কারও নজর যেত না।