প্রাক্তন বাম মন্ত্রী সাত্তার কংগ্রেসে

রাজ্যে ইদানীং দলবদল মানেই তৃণমূল বা বিজেপিতে যোগদান। কয়েক দিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন নবগ্রামের সিপিএম বিধায়ক কানাই মণ্ডল। এই আবহেই এ বার চমক দিল কংগ্রেস! রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সিপিএম নেতা আব্দুস সাত্তারকে দলে নিল তারা। বাম জমানায় সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সাত্তার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:১০
Share:

চমক দিল কংগ্রেস! রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সিপিএম নেতা আব্দুস সাত্তারকে দলে নিল তারা। নিজস্ব চিত্র।

রাজ্যে ইদানীং দলবদল মানেই তৃণমূল বা বিজেপিতে যোগদান। কয়েক দিন আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন নবগ্রামের সিপিএম বিধায়ক কানাই মণ্ডল। এই আবহেই এ বার চমক দিল কংগ্রেস! রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সিপিএম নেতা আব্দুস সাত্তারকে দলে নিল তারা। বাম জমানায় সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সাত্তার।

Advertisement

সিপিএমে তাঁর কিছু সমস্যা দেখা দেওয়ায় ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে আর পুরনো দলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেননি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নেতা সাত্তার। পেশায় শিক্ষক, ইদানীং ছিলেন লেখালেখি নিয়েই। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁদের দলে যোগ দিতে। শেষ পর্যন্ত সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন সাত্তার। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে দলের সমাবেশের দু’দিন আগে যোগদানের ঘটনায় উৎসাহিত কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, জেলা ও ব্লক স্তরে অন্য দলের অনেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। সাত্তারও জানিয়েছেন, বিভাজনের রাজনীতি ও রাজনীতির বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াই কংগ্রেসের মতো শক্তির নেতৃত্বেই করতে হবে।

বিধান ভবনে সোমবার এআইসিসি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গৌরব গগৈ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র দলের পতাকা তুলে দিয়েছেন সাত্তারের হাতে। ছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য, শঙ্কর মালাকার, অমিতাভ চক্রবর্তী, দেবব্রত বসুরা। গগৈয়ের দাবি, ‘‘সারা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও কংগ্রেসকে নিয়ে উৎসাহ বাড়ছে। গত কয়েক দিনে আমি নিজে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের মতো জেলা ঘুরে দেখেছি, নানা স্তরে অনেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন। সাত্তারের মতো জনমানসে গ্রহণযোগ্য, শিক্ষিত, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতাকে পেয়ে কংগ্রেস শক্তিশালী হবে।’’ সোমেনবাবু জানান, সাত্তার সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন দেখে তাঁরা যোগাযোগ করেছিলেন। আর সাত্তারের বক্তব্য, ‘‘এই বাংলায় তৃণমূলের ৮ বছরের শাসনে যে ভাবে সাম্প্রদায়িকতার উত্থান হয়েছে, কংগ্রেস ও বামেদের ৬৪ বছরের শাসনে তা অভাবনীয় ছিল! প্রথমে সংখ্যালঘু তোষণ এবং এখন সংখ্যাগুরু তোষণের নামে তৃণমূল বিভাজন তীব্র করছে, তাতে বিজেপিরও দাপট বাড়ছে।’’

Advertisement

সোমেনবাবুর বক্তব্য, কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই শাসক দলের বিভাজনের রাজনীতি এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধেই তাঁদের বুধবার রাসমণিতে সমাবেশ। তবে প্রশ্ন উঠেছে, বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে বোঝাপড়ার বাতাবরণে সিপিএম থেকে লোক নেওয়া কি অবিশ্বাস তৈরি করবে? সোমেনবাবুর জবাব, ‘‘এখানে দল ভাঙানো হয়নি। সাত্তার এখন কোনও দলে ছিলেন না। আমরা তো চাইবই নিজেদের দলকে শক্তিশালী করতে।’’ তাঁকে সমর্থন করেছেন সাত্তারও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন