অচেনা নম্বর থেকে হঠাৎ ফোন। ও প্রান্তে রাহুল গাঁধী!
পশ্চিমবঙ্গ হোক বা তেলঙ্গানা, কর্নাটক বা ওড়িশা— রাহুলের আচমকা ফোন পেয়ে চমকে গিয়েছেন অনেকে। রাজ্য নেতৃত্বের মাথার বদলে দিল্লি থেকে জেলার নেতাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা সম্প্রতি শুরু করেছেন কংগ্রেস সভাপতি। লক্ষ্য একটাই, দলের সংগঠন শক্ত করার আসল ভার যাঁদের হাতে, তাঁদের থেকেই হালটা জানা।
দিল্লিতে দলের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা অশোক গহলৌতকে পাশে বসিয়ে তালিকা ধরে হঠাৎই যেমন রাহুল ফোন করলেন বাংলার জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের নেতা পিনাকী সেনগুপ্তকে। তিনি আবার জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস-চেয়ারম্যান ও শহর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি। এআইসিসি সূত্রের মতে, প্রায় মিনিট পনেরো কথোপকথনের গোড়াতেই জেলার সংগঠন নিয়ে জিজ্ঞাসা করেন। একই প্রশ্ন করেন অন্য রাজ্যের জেলা নেতাদেরও।
কিন্তু জবাব কী পেলেন রাহুল?
এআইসিসি সূত্রের মতে— পিনাকী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জেলায় সংগঠন আছে। কিন্তু নেতারা নিষ্ক্রিয়। আর রাজ্য কংগ্রেস নেতারা মানসিক রোগে ভুগছেন, নিজেদের ইগো নিয়েই ব্যস্ত। ওড়িশার নেতা যেমন জানিয়েছেন, রাজ্যের বড় নেতাদের নাগালই পাওয়া যায় না! তেলঙ্গানার জেলা নেতার অভিযোগ, রাজ্য নেতারা তাঁদের পাত্তাও দেন না। দিল্লি আর হায়দরাবাদে নিজেদের গোষ্ঠী বানিয়ে রেখেছেন। টিকিট কাকে দেওয়া হবে, তাঁরাই ঠিক করেন।
এআইসিসি-র এক নেতার কথায়, ‘‘দলের ভিতর থেকে নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রাহুলের কাছে অপ্রত্যাশিত নয়। বরং এই পরিস্থিতি জেনেই রাহুল তৃণমূল স্তরের কর্মীদের সঙ্গে আরও বেশি করে সরাসরি কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে রাজ্য নেতাদের ওপরও চাপ বাড়বে।’’ রাহুল জেলা নেতাদের জানান, তাঁরাই দলের মেরুদণ্ড। ভবিষ্যতে দলের সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় তাঁদের শামিল করা হবে। অশোক গহলৌতও অভিযোগগুলি নোট করেন।