পার্থ চট্টোপাধ্যায়
পারস্পরিক সম্পর্ক বদলের জন্য সভাপতি বদলের দিনেই রাজ্য কংগ্রেসকে ‘শর্ত’ দিল তৃণমূল। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুক্রবার বলেন, ‘‘মুখ বদল করে কী হবে? রাজ্য কংগ্রেসকে মমতা-বিরোধিতা ছাড়তে হবে। নইলে রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হতে থাকা একটি দলকে নিয়ে আমরা ভাবব কেন?’’
রাজনৈতিক ভাবে সোমেনবাবু তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিপিএমের সঙ্গে জোট করার পক্ষে। শুক্রবারই নব নির্বাচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে ফোনে অভিনন্দন জানিয়েছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এটা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। তবে, তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তি যে ভাবে বোঝাপড়া রেখে কাজ করছে, তা চালিয়ে যাওয়া যাবে বলেই আমরা আশাবাদী।’’
রাজনৈতিক মহলে অধীর চৌধুরীর অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এ দিন প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে অআধীরবাবুকে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্য বিজেপির দরজা সকলের জন্যই খোলা। অধীরবাবু যোগাযোগ করলে আমরা ভেবে দেখব।’’ তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওদের সভাপতি বদল দেখে মনে হচ্ছে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের ব্যবস্থা করছে।’’ উল্লেখ্য কংগ্রেস ছেড়ে সোমেনবাবু পাঁচ বছর তৃণমূলের সাংসদ ছিলেন। ফের কংগ্রেসে ফেরেন।
পার্থবাবু বলেন, ‘‘সাংগঠনিক দিক থেকে রাজ্যে কংগ্রেসের বিশেষ কিছু করণীয় নেই। তবে তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অবস্থান। তৃণমূলের বিরোধিতা করে ধারাবাহিকভাবে সেই ভুলই করে চলেছে কংগ্রেস।’’