কংগ্রেসের 'জেল ভরো'-য় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে আহত বিধায়ক সফিউল আলম খান (ডান দিকে)। ধর্মতলায় গ্রেফতার কংগ্রেস কর্মীরা (বাঁ দিকে)। নিজস্ব চিত্র।
কংগ্রেসের ‘জেল ভরো’ কর্মসূচি ঘিরে ফের ধুন্ধুমার বাধল ধর্মতলা চত্বরে। কাজের দাবিতে নবান্ন অভিযান করতে গিয়ে পুলিশের ‘আক্রমণে’ বাম যুব কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের শাস্তি ও কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এবং অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ওই ‘জেল ভরো’র ডাক দিয়েছিল মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেস। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে বৃহস্পতিবার মিছিলের শুরুতে ছিলেন বিধানসভায় বিরোধী দলের সচেতক মনোজ চক্রবর্তী। মিছিল ধর্মতলায় পৌঁছলে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি চলে কিছু ক্ষণ। তার পরে লাঠিও চালায় পুলিশ। ঘটনায় আহত হন কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক সফিউল আলম খান (বনু)। গ্রেফতার করা হয় মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি সুমন পাল, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌরভ প্রসাদ-সহ অনেককে। সুমন বলেন, ‘‘যাদের গরু বা কয়লা পাচারের পয়সা নেই, তারা চাকরির দাবিতে আন্দোলন করবেই। সেই আন্দোলনে পুলিশের আক্রমণে যে ভাবে মইদুলের মৃত্যু হয়েছে, তার প্রতিবাদে আমরা জেল ভরো কর্মসূচি নিয়েছিলাম। সেখানেও পুলিশ লাঠি চালিয়েছে, আমাদের দলের বিধায়ককেও মেরেছে।’’ আর মনোজবাবুর অভিযোগ, অনুদানের রাজনীতি করে যুব সমাজকে ‘কাঙাল’ বানাতে চাইছে তৃণমূলের সরকার।