ডেরেক ও’ব্রায়েন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল নেত্রী
(স্টিং ভিডিও নিয়ে যখন উথালপাথাল চলছে, তাঁর দলের নেতা-মন্ত্রীরা যখন গুরু অভিযোগে অভিযুক্ত, সরাসরি কোনও কথা বললেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ‘নীরব’ থেকেও ফাঁসিদেওয়ার সভায় যে ভাবে অপপ্রচারের অভিযোগ আনলেন বিরোধীদের বিরুদ্ধে তাতে অনেকেই মনে করছেন, এটা আসলে স্টিং-কাণ্ডেরই প্রতিক্রিয়া।)
যাদের দু’কান কেটেছে মানুষ, তাদের লজ্জা নেই। চক্রান্ত ছাড়া কিছু করে না। আমাকে সারা জীবন খুন করার চেষ্টা করেছে। মানুষ তাদের পাশে নেই। একটাও জিতবে না। বড় অকটা গোল্লা পাবে। কুত্সা রটিয়ে, মিথ্যে বলে অপপ্রচার করা ঘৃণা করি।
ডেরেক ও’ব্রায়েন, তৃণমূলের মুখপাত্র
তথাকথিত স্টিং অপারেশনের ভিডিওটি আমরা দেখেছি। এর মধ্যে কোনও স্টিং বা বিষ-ই নেই। স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই স্টিং অপারেশনকে আমরা গুরুত্বই দিচ্ছি না। নির্লজ্জ রাজনৈতিক বিরোধিদের এটাই বলতে চাই যে আমাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করুন। নোংরা খেলার আশ্রয় নেবেন না। আমরা এমন সময়ে বসবাস করি যেখানে প্রায়শই প্রযুক্তির অপব্যবহার করা হয়। যে সংস্থাটি এই ভিডিওটি শুট করেছে, তারা দুবছর ধরে সত্য ধামা চাপা দিয়ে রেখেছিল কেন? আজই বা তারা কেন হঠাত এই ভিডিওটি প্রকাশ করলেন? সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কুত্সা রটানোর এটা একটা প্রয়াস। কিন্তু বাংলার মানুষ সব বোঝেন, জানেন। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে আস্থা রাখেন। ১৯ মে মানুষ যখন রায় দেবে তখন আপনারা নিজেরাই দেখে নেবেন এই স্টিং অপারেশন নিয়ে মানুষ কী ভাবছে।
সৌগত রায়, তৃণমূল সাংসদ
আমি দিল্লিতে আছি। আমাকে কলকাতা থেকে দলের এক নেতা এই নিয়ে কথা কথা বলতে বারণ করেছেন। তাই কিছু বলছি না।
সুলতান আহমেদ, তৃণমূল সাংসদ
আমি এই নিয়ে নিজে থেকে কিছু বলছি না। কারণ আমি এক রকম বলব দল অন্য লাইন নেবে, দুটোর মধ্যে তফাত্ হয়ে যাবে। যা বলার একটা লাইনেই থাক।
মুকুল রায়, তৃণমূল সাংসদ
ভোটের আগে ষড়যন্ত্র। এটা জাল এবং সাজানো ভিডিও। আইনি ব্যবস্থা নেব আমরা।
কাকলি ঘোষ দস্তিদার, তৃণমূল সাংসদ
জাল, সাজানো ভিডিও। দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। ভিডিওতে যে ঘর দেখানো হয়েছে, তা আমি চিনি না। টেবিলটাও অচেনা।
মদন মিত্র, প্রাক্তন মন্ত্রী
মদনবাবু জেলে থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর ছেলে শুভরূপ মিত্র জানিয়েছেন—
যদি এ রকম কিছু হয়ে থাকে তা হলে সেটা জাল ভিডিও। কারণ, মদন মিত্র ১৫ মাস জেলে রয়েছেন।
ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী কুত্সা রটাতে মিথ্যা অভিযোগ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মন্ত্রী যোগাযোগ করা যায়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়, মেয়র এটা চক্রান্ত। এর বেশি কিছু বলব না। যা বলার দল বলবে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর
নারদ নিউজের স্টিং অপারেশন, ঘুষ বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের ১১ শীর্ষনেতা