—ফাইল চিত্র।
টানা বৃষ্টিতে এবং ডিভিসি-র জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। কংসাবতীর জল বাড়ছে। দিঘায় জলোচ্ছ্বাস বাড়ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম ও গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন রয়েছে। তবে প্রশাসনের দাবি, জলস্তর কিছুটা কমায় ত্রাণশিবির খোলার প্রয়োজন হয়নি। আড়গোড়া, শুকচন্দ্রপুর, গম্ভীরনগর, চাউলি, রামচন্দ্রপুর, দুধেরবাঁধ-সহ বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকেছে। মুকুটমণিপুর-সহ বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে ঘাটালে ব্যাপক প্লাবনের আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে নাগাড়ে বৃষ্টিপাতে বর্ধমানের কালনা, কাটোয়া, কেতুগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বলে খবর। কালনা মহকুমার নান্দাই, ঘুঘুডাঙা, পারদুপসা-সহ প্রায় ১০০টি গ্রাম জলমগ্ন। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, মহকুমার প্রায় ৭০ শতাংশ কৃষিজমি জলমগ্ন। নাদনঘাট, নান্দাই, ঝাউডাঙা-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় স্থানীয় স্কুলগুলিতে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ দিন বিকেল ৫টায় মহকুমার সমস্ত বিডিও-কে নিয়ে বৈঠকে বসছেন কালনার মহকুমাশাসক সব্যসাচী ঘোষ।
হাওড়ায় ডিভিসি ৫২ হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় সেচ দফতর সতর্কতা জারি করেছে। উদয়নারায়ণপুর এবং আমতা-২ ব্লকে ডিভিসি-র ছাড়া জলে ফি বছর বন্যা হয়। তবে এ বার তেমন বিপদ হবে না বলে সেচ দফতরের আধিকারিককেরা জানিয়েছেন। সতর্কতা হিসাবে তাঁরা বুধবার সকাল থেকেই দামোদরের বাঁধ পরিদর্শন করছেন। কোথাও ফাটল দেখা দিলে চটজলদি মেরামতের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টিতে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। বাগনান, উলুবেড়িয়া, আমতা, বাউড়িয়া প্রভৃতি এলাকার রাস্তাঘাট ডুবে গিয়েছে। বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢুকেছে। বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালেও জল ঢুকেছে।
বীরভূমে কুঁয়ে নদীর একদিকের পাড় ভেঙে জল ঢুকে লাভপুর ও মহম্মদবাজার এলাকার বেশ কিছু গ্রাম জলমগ্ন। খয়রাশোলের হিংলো ড্যাম থেকে জল ছাড়ায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি জায়গায় কজওয়ে ভেসে গিয়েছে।