রূপার কথায় বিতর্ক, জবাব দিল তৃণমূলও

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে অবশ্য কুকথার ইতিহাস নতুন নয়। সিপিএমের গৌতম দেব থেকে তৃণমূলের তাপস পাল কিংবা বিজেপির দিলীপ ঘোষরা সময়ে-সময়ে বিরোধী শিবিরকে নিশানা করে কুকথা বলতে পিছপা হননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৭ ০৩:৪১
Share:

কুকথার নতুন নজির গড়লেন বিজেপি সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

প্রথমে দার্জিলিং। তার পর বসিরহাটের অশান্তি। রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও সরকারের তোষণ নীতির অভিযোগ তুলে কাল দিল্লিতে ‘বাংলা বাঁচাও’ সভা করেছে বিজেপি। রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতা তুলে ধরতে দেশ জুড়ে আন্দোলনের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়। কিন্তু এরই মধ্যে বেফাঁস মন্তব্য করে দলের নেতৃত্বকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ রূপা। গত কাল পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি সারা দেশের লোকদের, বিশেষ করে কংগ্রেস-সহ সেই সব নেতা যাঁরা ওঁকে (মমতাকে) সমর্থন করেন তাঁদের বলব, মমতাজিকে না জানিয়ে তাঁদের পুত্রবধূ, মেয়ে, বৌদি বা স্ত্রীকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়ে দেখুন। ১৫ দিনের মধ্যে যদি তাঁরা ধর্ষিত না হন, তা হলে আমায় এসে বলবেন।’’ রূপার এই মন্তব্য সামনে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে অবশ্য কুকথার ইতিহাস নতুন নয়। সিপিএমের গৌতম দেব থেকে তৃণমূলের তাপস পাল কিংবা বিজেপির দিলীপ ঘোষরা সময়ে-সময়ে বিরোধী শিবিরকে নিশানা করে কুকথা বলতে পিছপা হননি। তবে এ বার রূপার বক্তব্যে সামনে আসতে বিরোধী শিবির থেকেই শুধু প্রতিক্রিয়া আসেনি, বিজেপি নেতৃত্বও একে মেনে নিতে পারেননি। বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বক্তব্য, তাঁদের প্রতিবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে। সংঘর্ষ থামাতে রাজ্য প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা তথা পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে খারাপ, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু রূপা যে ভাবে সেটিকে তুলে ধরেছেন, দল তা সমর্থন করে না।

Advertisement

সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহে। রাজ্যসভায় রূপার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, এই কথা বলে রাজ্যের মহিলাদের অসম্মান করেছেন রূপা। ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘রাজ্যকে দোষী বানানোর আগে রূপা নিজে বলুন, তিনি নিজে কতবার পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের শিকার হন। তা হলেই তাঁর অভিযোগের সত্যতা কতটা তা বোঝা যাবে।’’ রূপার এই মন্তব্যে রাজ্যের সম্মানহানি হয়েছে বলে শুক্রবার নিমতা থানায় অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি। নবান্ন সূত্র জানিয়েছে, রাজ্য বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল। আইনি দিক খতিয়ে দেখে মামলা করার বিষয়েও ভাবছে রাজ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement