—ফাইল চিত্র।
বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে পাশ হয়েছে কলকাতা পুরসভার মেয়র নির্বাচন সংক্রান্ত সংশোধনী বিল। কিন্তু এখনও তাতে রাজ্যপালের সিলমোহর পড়েনি। রাজ্যপালের স্বাক্ষরের আগে তা হলে কেন মেয়র নির্বাচনের দিনক্ষণ জারি করল পুর প্রশাসন? সোমবার পুরমহলে গুঞ্জন ওঠায় অস্থিরতা বাড়ে পুরকর্তাদের একাংশের। যদিও পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায় জানিয়েছেন, সরকারি নিয়মেই দিন ঘোষিত হয়েছে।
২২ নভেম্বর মেয়র পদে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। পুরসভার (১৯৮০) সালের আইন অনুসারে নতুন কাউকে মেয়র হতে হলে অবশ্যই কাউন্সিলর হতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার ওই দিনই (বৃহস্পতিবার) বিধানসভায় পুর আইনের সংশোধনী বিল পেশ করে। ওই বিলে বলা হয়েছে কলকাতা পুরসভার মেয়র পদের জন্য কাউন্সিলর নন এমন কেউও প্রার্থী হতে পারেন। ভোটাভুটিতে তিনি জয়ী হলে ভোটের দিন থেকে ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে কাউন্সিলর হিসেবে জিতে আসতে হবে। ২২ তারিখেই কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, মেয়র পদের জন্য ২৪ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। ভোট হবে ৩ ডিসেম্বর। ওই সংশোধনী বিল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাম নেতারা। এ দিন পুরসভাতেও তা
নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাম কাউন্সিলরেরা। সিপিএমের কাউন্সিলর রত্না রায়মজুমদারের অভিযোগ, ‘‘রাজ্যপালের স্বাক্ষরের আগেই বা কী করে মেয়র পদে ভোটের জন্য দিনক্ষণ জারি করল পুর প্রশাসন?’’ রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্রেরও মন্তব্য, ‘‘এমনটা করা যায় বলে আমার ধারণা নেই।’’
রাজ্যপাল রবিবার পর্যন্ত কলকাতায় ছিলেন না। সোমবার ফেরার পরেও তাঁর বাইরে কর্মসূচি ছিল। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি সংশ্লিষ্ট ফাইলটি দেখার সময় পাননি বলেই রাজভবন সূত্রে খবর। এ দিনই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। তারা ওই বিলে সই না-করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে রাজ্যপালকে। যদিও রাজ্য প্রশাসনের ব্যাখ্যা, মেয়র পদত্যাগ করেছেন। নতুন মেয়র নির্বাচন প্রক্রিয়া পুরসভার বিষয়। তার সঙ্গে আইন সংশোধনের কোনও যোগ নেই।