বন্দি আইএস জঙ্গির হামলা, জখম রক্ষী

কারা দফতরের খবর, রবিবার ভোরে আলিপুর জেলে সেল খোলার কিছু পরে মসিরুদ্দিন মুসা নামে ওই আইএস জঙ্গি প্রথমে একটি পাথরের চাঁই দিয়ে গোবিন্দ দে নামে এক রক্ষীর মাথায় মারে। পরে ছুরির মতো একটি ধারালো অস্ত্র আর গজাল দিয়ে মারতে থাকে তাঁকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:১১
Share:

দেশের নানা প্রান্তে ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গি সংগঠনের উপদ্রব তো চলছেই। এ বার কারাগারের ভিতরেও হামলা চালাল, স্লোগান দিল জেলবন্দি এক আইএস জঙ্গি।

Advertisement

কারা দফতরের খবর, রবিবার ভোরে আলিপুর জেলে সেল খোলার কিছু পরে মসিরুদ্দিন মুসা নামে ওই আইএস জঙ্গি প্রথমে একটি পাথরের চাঁই দিয়ে গোবিন্দ দে নামে এক রক্ষীর মাথায় মারে। পরে ছুরির মতো একটি ধারালো অস্ত্র আর গজাল দিয়ে মারতে থাকে তাঁকে। সঙ্গে আইএসআইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর নামে স্লোগান দিতে থাকে মুসা। চিৎকার করে বলতে থাকে, উর্দিধারীরা তাদের শত্রু।

মহম্মদ সোহেল ওরফে পিন্টু নামে এক বন্দি ঝাঁপিয়ে পড়ে উদ্ধার করেন গোবিন্দবাবুকে। জখম হন তিনিও। মুসাকে সেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। গোবিন্দবাবুকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। পরে তাঁর পরিবার তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই হাসপাতাল সূত্রের খবর, মাথায় চোট রয়েছে গোবিন্দবাবুর। আজ, সোমবার তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হবে।

Advertisement

২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর থেকে আলিপুর জেলে রয়েছে মুসা। তখন থেকে ১৩ নম্বর সেল ব্লকের দু’নম্বর সেলই তার ঠিকানা। কারা দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘সাধারণ ভাবে এই ধরনের বন্দিদের অতিরিক্ত নজরদারির সুবিধাযুক্ত সেলেই রাখা হয়। মুসাকে সে-ভাবেই রাখা হয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরে মুসার ব্যবহারে কোনও রকম অস্বাভাবিকতা দেখা যায়নি বলে বাড়তি নজরদারি ছিল না।’’ এ দিনের হামলার পরে মুসাকে ওই সেল থেকে সরিয়ে এক নম্বর সেলের উপরে একটি পৃথক সেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাকে।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, জেলে বড় পেরেক ও স্টিলের জিনিসে ধার দিয়ে গজাল বা ছুরির মতো অস্ত্র তৈরি করেছিল মুসা। সে কী ভাবে অস্ত্র তৈরি করল, কেনই বা হঠাৎ কারারক্ষীর উপরে হামলা চালাল— সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement