মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছে পূরণে উড়ানে ভর্তুকির ভাবনা

মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন। তাই যে কোনও উপায়ে কোচবিহার-কলকাতা বিমান চালাতে তৎপর হল রাজ্য। সে জন্য যাত্রী পিছু ভর্তুকি দিতেও যে সরকার পিছ-পা নয়, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কোচবিহার বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৫ ০৩:২৮
Share:

মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছেন। তাই যে কোনও উপায়ে কোচবিহার-কলকাতা বিমান চালাতে তৎপর হল রাজ্য। সে জন্য যাত্রী পিছু ভর্তুকি দিতেও যে সরকার পিছ-পা নয়, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কোচবিহার বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আলাপনবাবু জানান, উত্তরবঙ্গ সফরে এসে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোনও ভাবেই হোক কোচবিহার-কলকাতা বিমান চলাচল শুরু করতে হবে।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে ভর্তুকি দিয়ে ছোট বিমান চালানো হবে, না কি বড় বিমানের কথা ভেবে বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে, তা নিয়ে ধন্দে রাজ্য। এই বিষয়টি নিয়েই মূলত আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। আলাপনবাবু বলেন, “বিমানবন্দরের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন অনেক ব্যয় সাধ্য ব্যাপার। তা না করে যাত্রী পিছু ভাড়ায় ভর্তুকি দিয়ে ছোট বিমান চালানো যায়। কত টাকা ভর্তুকি পেলে বিমান সংস্থাগুলি রাজি হতে পারে সে সব বিষয় নিয়ে এদিন আলোচনা হয়।”

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণের চাপ যে ঠিক কতখানি, তা-ও এ দিন পরিবহণ সচিবের কথায় প্রকাশ পেয়েছে। তিনি জানান, এই উড়ান নিয়ে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলির অনীহাই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং সে জন্যই সব রকম প্রস্তুতি নিয়েও শেষ মুহূর্তে বিমান চলাচল শুরু করা যাচ্ছে না। তিনি জানান, একবার এই
বাধা কাটিয়ে উঠতে পারলে আর কোনও সমস্যা হবে না। কারণ বিমান চলাচল শুরু হলেই সংস্থাগুলি
বুঝবে এখানে বাজার আছে। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি স্তরে বিমান চালানোর জন্য নিত্য চাপ তৈরি হচ্ছে আমাদের উপরে। কিন্তু আমরা তো কারও উপর জোর করতে পারি না। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি।
আশা করছি খুব শীঘ্র বিমান চলাচল শুরু হবে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement