পিটিআইয়ের তোলা প্রতীকী ছবি।
হেঁটে আসা ভিন্ রাজ্যের ৪৮ জন শ্রমিককে খুঁজে বার করে বর্ধমান শহর লাগোয়া কৃষি দফতরের নতুন ভবনে ‘কোয়রান্টিন’ বা নিভৃতবাসে রাখল জেলা প্রশাসন। করোনার উপসর্গ রয়েছে সন্দেহে তিন জনকে গাংপুরের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে রেখেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের মধ্যে কারও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে, জেলায় ‘কোভিড-১৯’ হাসপাতাল হিসাবে গড়ে তোলা গোদার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ওই তিন জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া ও কালনা মহকুমা হাসপাতাল বা বর্ধমানের বিভিন্ন ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জ্বর, সর্দি ও কাশির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হলে তাঁদের প্রাথমিক পরীক্ষা করে সরাসরি ‘নাইসেড’-এ পাঠানো হবে। সেখান থেকে করোনার জন্য নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হলে, ওই সব রোগীকে গাংপুরের কাছে বেসরকারি হাসপাতালে রাখা হবে। রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ পেলে গোদার বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হবে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভিন্ দেশ থেকে আসা ২৩৮ জন ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ রয়েছেন। ৩৩ জন সেখান থেকে ছাড়া পেয়েছেন। আরও আট জনের হদিস এখনও পায়নি স্বাস্থ্য দফতর। ভিন্ রাজ্য থেকে আসা নতুন ৬৫ জনকে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ পাঠানো হয়েছে। ফলে, ভিন্ রাজ্য থেকে এসে ‘হোম কোয়রান্টিন’-এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩,২৯৯।
শনিবার সকাল পর্যন্ত কালনা মহকুমা হাসপাতালে এক জন ‘আইসোলেশন’ ওয়ার্ডে রয়েছেন। বর্ধমান বা কাটোয়া হাসপাতালে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।