—ফাইল চিত্র।
করোনা মোকাবিলার জন্য সরকারি তহবিলে অর্থ সাহায্য অব্যাহত। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে শুক্রবার ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পাশাপাশি এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর তৈরি কেন্দ্রীয় তহবিলেও পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ-সহ শিক্ষা দফতরের অধীনে থাকা সংস্থাগুলি মিলিত ভাবে বৃহস্পতিবার পাঁচ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকারের আপৎকালীন তহবিলে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এই সাহায্য তাতে কাজে আসবে বলেই আমরা আশাবাদী।’’ নিজের বিধায়ক ভাতা থেকে শিলিগুড়ি পুরসভার তহবিলে এক লক্ষ টাকা দিয়েছেন শিলিগুড়ির সিপিএম বিধায়ক তথা মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, ‘‘উত্তরবঙ্গে এক জনের মৃত্যুর পরে এই অঞ্চলের মানুষের মনে উদ্বেগ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আমরা নাগরিকদের বলছি, আতঙ্কের কারণ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, আমরা সব রকম ভাবে লড়াই করছি।’’
সাহায্যে এগিয়ে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সমবায় আবাসন ফেডারেশন। সংস্থার চেয়ারম্যান আশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কর্মীদের এক দিনের বেতন-সহ এক লক্ষ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য বিধানসভার কর্মচারী সংগঠনের তরফেও কর্মীদের এক দিনের বেতন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ সইফুদ্দিন সর্দার জানিয়েছেন, সংগৃহীত অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভিন্ রাজ্যে সমস্যায় পশ্চিমের ২৮ হাজার
রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি অর্থ সংগ্রহে নেমেছে বিভিন্ন ক্লাব ও পুজো উদ্যোক্তাও। নিউ আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘের তরফে স্বরূপ বিশ্বাস দু’লক্ষ, একডালিয়ার তরফে সুব্রত মুখোপাধ্যায় এক লক্ষ টাকা এ দিনই মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে দিয়েছেন। বিসি রায় শিশু হাসপাতালে রোগীর পরিজনেদের রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে কাঁকুড়গাছির অভিযান ক্লাব।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)