ফাইল চিত্র
বাইরে থেকে ফিরলে ১৪ দিনের হোম কোয়রান্টিনে থাকতেই হবে। সেটা না মানলে এবার শুধু যে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হবে, তা নয়। তার আগে গ্রেফতারও করা হতে পারে সেই নির্দেশ অমান্যকারীদের। এবার এমনই সিদ্ধান্ত নিল আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লক প্রশাসন।
একই সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও জানিয়েছে দিয়েছেন, বাইরে থেকে ফিরে কেউ গৃহবন্দি না থেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে স্বাস্থ্য দফতরও আইনি পদক্ষেপ করবে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কারও সন্ধান এখনও পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে মেলেনি। কিন্তু দিনকয়েক আগে ভুটানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক মার্কিন নাগরিকের সন্ধান মেলার পর আলিপুরদুয়ারে সতর্কতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তেই সেই সতর্কতাও আরও বাড়তে থাকে।
তবে এই ক্ষেত্রে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন এমন অনেক মানুষ, যাঁরা বছরভর ভিন রাজ্যে কর্মরত। এই মানুষদের একটা বড় অংশ জেলার চা বাগান এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু তাঁদের কর্মক্ষেত্রের রাজ্যগুলির বাসিন্দারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে শুরু করায় তাঁরা আপাতত দ্রুত বাড়িতে ফিরছেন। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের অনেকের খোঁজ জানতেই পারছে না প্রশাসন। যাঁদের খোঁজ মিলছে তাঁদের অনেকেই হোম কোয়রান্টিনে থাকছেন না। ফলে রবিবার কালচিনির সুহাসিনী চা বাগানের বাসিন্দা এক যুবক ও দুই যুবতীকে পুলিশের সাহায্যে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। সোমবারও ওই ব্লকেরই এক চা বাগান এলাকার বাসিন্দাকে ফালাকাটার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
কালচিনির বিডিও ভূষণ শেরপা বলেন, ‘‘যাঁদের হোম কোয়রান্টিনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা তা পালন করছে কিনা সেটা পুলিশ দেখবে। আর কাউকে নির্দেশ অমান্য করতে দেখা গেলেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করবে।’’ আলিপুরদুয়ারের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ সকলকে মানতে হবে। না মানলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ করব।’’