Coronavirus

করোনা রুখতে সারা দেশে মডেল ভূমিকা কেরলের, বাংলা কী করছে?

পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য কর্তাদেরও দাবি, তাঁরাও করোনা প্রতিরোধে যে মডেল নিয়েছেন তা কেরলের থেকে কোনও অংশে কম নয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ১৯:৫৫
Share:

কেরলের আলুভা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের সামনে বিশেষ পোশাকে স্বাস্থ্য কর্মীরা। ছবি: পিটিআই

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই এ দেশে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অতিমারীর আকার নিয়েছে এই রোগ। কোবিড-১৯ ভাইরাসের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। করোনাভাইরাসকে রোখা এখন গোটা দেশের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ভারতের মতো ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশে, যেখানে জনসংখ্যা কমবেশি ১৩০ কোটি সেখানে সেই চ্যালেঞ্জ খুব সহজ নয়। তবে তার মধ্যেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্যের নজির গড়ল কেরল। দক্ষিণের ছোট্ট এই রাজ্যের নেওয়া করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মডেল পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমেরও প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। আর তাই খোদ রাজধানীতে বসে অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে— যা কেরল আজকে ভাবে তা আগামী কাল গোটা ভারত ভাববে।

Advertisement

কেরল মডেলে কী এমন রয়েছে যা বাকিরা করতে পারছে না?

কেরল সরকারের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘করোনা রুখতে আমাদের মূল তিনটি হাতিয়ার। জনসচেতনতা বৃদ্ধি, স্পষ্ট নির্দেশের সঙ্গে তথ্যের স্বচ্ছতা এবং দ্রুত পদক্ষেপ।” ৩ ফেব্রুয়ারি কেরলে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। গোটা দেশের নিরিখেওওই ব্যক্তি প্রথম করোনা আক্রান্ত। কেরলের ওই আধিকারিকদের দাবি, তার আগে থেকেই করোনা রোখার জন্য একটি আঁটোসাঁটো পরিকল্পনা তৈরি করা হয় যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অবস্থা অনুযায়ী আরও সংশোধিত করা হয়েছে।

Advertisement

স্পষ্ট নির্দেশ এবং তথ্যের স্বচ্ছতা

করোনা রুখতে গেলে কী কী করতে হবে, তার স্পষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত সেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে কার্ষকর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘সিঙ্গল উইন্ডো’ পদ্ধতিতে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য দৈনিক বুলেটিনের আকারে সবার আওতার মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে।

এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে করোনা নিয়ে প্রচার ফ্লেক্স পড়ছেন মানুষ। ছবি: পিটিআই।

আরও পড়ুন: জমায়েতে করোনা জুজু, পুরভোট কি পিছবে? দ্বিধায় প্রায় সব দলই​

জনসচেতনতা বৃদ্ধি

যে কোনও অতিমারীর ক্ষেত্রে গুজব এবং ভুল তথ্য দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে তৈরি হয় অহেতুক আতঙ্ক এবং হুড়োহুড়ি। যা একটি গোছানো ব্যবস্থাকে ভেঙে দেয়। তাই শুরু থেকেই জন সচেতনতায় গুরুত্ব দিয়েছে কেরল সরকার। তার জন্য তৈরি করা হয়েছে ৬৬ টি প্রশিক্ষণ ভিডিয়ো। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রচারও করা হচ্ছে। ১৪৩ জন মনোবিদকে নিয়োগ করেছে সরকার। সঙ্গে পাঁচ হাজারের বেশি টেলি কাউন্সেলর। রোগ নিয়ে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকায় জনসচেতনতা অনেক সহজেইবাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

দ্রুত পদক্ষেপ বা জিরো রিঅ্যাকশন টাইম

কোন ক্ষেত্রে ঠিক কী পদ্ধতিতে এগনো হবে তা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ফলে অহেতুক সময় নষ্ট এড়ানো সম্ভব হচ্ছে।

এই তিনটি মূল স্তম্ভের উপর তৈরি লড়াইয়ের পরিকাঠামোর প্রথম ধাপেই বলা হয়েছে কাকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হবে। সেই সংজ্ঞায় প্রথমেই বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী করোনা প্রাদুর্ভাব হয়েছে এমন দেশে ১৪ দিনের মধ্যে ভ্রমণ করলেই তিনি সন্দেহভাজন। তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁরাও সন্দেহভাজন। এঁদের সবাইকে প্রাথমিক ভাবে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

এক, যাঁদের মধ্যে জ্বর, সর্দি,কাশি শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ আছে। দুই, যাঁদের উপসর্গ নেই।

উপসর্গ আছে এমন সন্দেহভাজনদের তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে কেরল সরকার। প্রথম ভাগে রয়েছেন যাঁদের হালকা জ্বর, অল্প গলা ব্যথা, কাশি এবং ডায়ারিয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগটি যাঁদের বেশি জ্বর এবং গলা ব্যথা এবং কাশি রয়েছে। এ ছাড়াও যে সমস্ত মানুষের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যাঁরা দীর্ঘদিনের কিডনি, ফুসফুসের রোগ, ক্যানসার বা এইচআইভি পজিটিভ বা অন্তঃসত্ত্বা। তৃতীয় শ্রেণিতে রয়েছে শিশু (যাদের ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ রয়েছে)এবং বড়দের, যাঁদের হঠাৎ রক্তচাপ কমে গিয়েছে বা যে রোগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন, হঠাৎপরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মালদহের মহদিপুর স্থলবন্দরে থার্মাল স্ক্রিনিং চলছে। ছবি: পিটিআই।

এই শ্রেণি বিভাজন থেকেই ভাগ করে দেওয়া হয়েছে কাদের কোবিড-১৯ টেস্ট প্রয়োজন, আর কাদের প্রয়োজন নেই। কেরল সরকারের কড়া নির্দেশ এই শ্রেণি বিভাজন করা হবে একদম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র পর্যায় থেকে। সরকারের দিশা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন না করে কেউ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যেতে পারবেন না। ফলে তৈরি হচ্ছে কেন্দ্রীভূত তথ্য ভাণ্ডার। প্রাথমিক স্তর থেকে কার পরীক্ষা করা হবে আর কার করা হবে না, সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ায় কোনও পরীক্ষাকেন্দ্র বা হাসপাতালে অহেতুক ভিড় হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডার থাকায় যাঁদের হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাঁদের প্রতিদিন স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ফোন করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা। ফলে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যেও সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় কমছে।

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে কাঁপছে দেশ, আক্রান্ত বেড়ে ৮১, দিল্লিতে জরুরি সতর্কতা​

অন্য দিকে, পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত স্পষ্ট নির্দেশিকা থাকায় সংক্রমণ ঘটেছে এমন দেশে কারা গিয়েছিলেন তার তালিকা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। তাঁরা কবে গিয়েছেন, কবে ফিরেছেন এবং ফিরে তাঁরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন কি না সেই তথ্যও দ্রুত পৌঁছচ্ছে কেন্ত্রীয় তথ্য ভাণ্ডারে। সেই সঙ্গে তাঁরা কাদের সংস্পর্শে এসেছেন সেই তালিকাও তৈরি করা সহজ হচ্ছে। জন সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায়বাড়িতে আইসোলেশনের ক্ষেত্রে সরকার অনেক বেশি স্বতস্ফুর্ত সাহায্য পাচ্ছেন জনগণের কাছ থেকে। বাড়ছে সামাজিক নজরদারিও। ফলে স্কুল বন্ধ রাখা, সামাজিক জমায়েত বা সিনেমা হল বন্ধ রাখার মতো সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষেত্রে সরকার গণ প্রতিরোধের বদলে সহযোগিতা পাচ্ছে বেশি। মানুষ উপসর্গ লুকনোর বদলে নিজে থেকে এগিয়ে আসছেন জানাতে।কেরলের স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এ ধরনের সংক্রমনের ক্ষেত্রে হাসপাতাল সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই খুব প্রয়োজন না হলে আমরা বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিই।”

কেরলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪ হাজার ১৮০ জন রয়েছেন নজরদারিতে। ৩ হাজার ৯১০ জন রয়েছেন বাড়িতে আইসোলেশনে। মোট ২৭০ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাড়িতে আইসোলেশনে গুরুত্ব দেওয়ায় ৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে দেখা যায় ধীরে ধীরে হাসপাতালে ভিড় কমতে থাকে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা স্বীকার করেন, ‘‘এই রোগ রোখার সবচেয়ে বড় দাওয়াই ভিড় এড়ানো।” তিনি ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘‘৫ ফেব্রুয়ারি ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ১০ জন। চিন এবং ওই জাহাজ বাদে গোটা পৃথিবীতে ওই দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ২২ জন। ৭ ফেব্রুয়ারি জাহাজে নতুন করে আক্রান্ত হন ৪১ জন। বাকি পৃথিবীতে ওই দিন আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৩ জন। ১১ ফেব্রুয়ারি সেই সংখ্যা যথাক্রমে ৬৫ এবং ১১ হয়।” এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে ঘনবসতির মধ্যে কত দ্রুত লাফিয়ে বাড়ে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই জনসচেতনতার মাধ্যমে সেই সামাজিক জমায়েতেই রাশ টেনে করোনাকে সাফল্যের সঙ্গে বাগে আনতে পেরেছে কেরল মডেল।

কেরলের এই সফল মডেল এখন অনুসরণ করছে বাকি রাজ্য গুলিও। কর্নাটক সরকার সিনেমা হল বন্ধ করার পাশাপাশি বিয়ের মতো সামাজিক জমায়েতেও নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। মধ্যপ্রদেশে কেউ এখনও করোনা আক্রান্ত না হওয়া সত্বেও সেখানকার সরকার স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য কর্তাদেরও দাবি, তাঁরাও করোনা প্রতিরোধে যে মডেল নিয়েছেন তা কেরলের থেকে কোনও অংশে কম নয়।

কোচির একটি ফাঁকা প্রেক্ষাগৃহ। করোনা রুখতে আপাতত বন্ধ ছায়াছবির প্রদর্শন। ছবি: পিটিআই।

কী কী হয়েছে এ রাজ্যে—

নৌ বন্দর, স্থল বন্দর, বিমান বন্দর থেকে শুরু করে সীমান্তে সর্বত্র থার্মাল স্ক্রিনিং টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে।

রাজ্যে ১৬৩ টি আইসোলেশন বেডের বন্দোবস্ত রয়েছে।

ব্লক হয়ে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে করোনা মোকাবিলা করতে কী কী করতে হবে তার নির্দেশিকা

করোনা মোকাবিলা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ব্লক স্তরের স্বাস্থ্য কর্মীদের

স্কুলের শিক্ষকদেরও প্রাথমিক সচেতনতা পাঠ দেওয়া হচ্ছে যাতে ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমে তাদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছয় সেই সচেতনতা

গ্রামে আশা কর্মীদের ব্যবহার করা হচ্ছে হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের উপর নজর রাখতে

প্রতিদিন স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বুলেটিন প্রকাশ করা হচ্ছে।

সচেতনতা বাড়াতে ব্যানার, পোস্টার, হ্যান্ডবিল এবং অডিয়োর মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে

আরও পড়ুন: করোনা সন্দেহ হলেই আইডি-তে যান, পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর​

স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার দেওয়া এই তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিক প্রতিরোধের অনেকটাই ইতিমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে এ রাজ্যে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ, মূলত যাঁরা বিভিন্ন জেলাতে কর্মরত তাঁদের মতে,‘‘এ রাজ্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে।” অর্থাৎ কেরল মডেলের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ যা কেরলকে সাফল্য দিয়েছে তা এখনও মজবুত নয় এ রাজ্যে। এক জেলা স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, ‘‘কেরল যা শুরু করেছিল ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম থেকে, এ রাজ্যে তা শুরু হয়েছে পুরোদমে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে।’’ জনসচেতনতার সঙ্গে খামতি রয়েছে তথ্যভাণ্ডার গড়ার ক্ষেত্রেও স্বীকার করেন একটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘‘কারা করোনা আক্রান্ত দেশে গিয়েছিলেন তা জানার জন্য আমরা কলকাতার উপর নির্ভরশীল। পাসপোর্ট থেকে অভিবাসন দফতর জানতে পারে।” কিন্তু সেই ব্যক্তি কার কার সংস্পর্শে এসেছেন তা খুঁজে বের করা যে রীতিমতো কষ্টসাধ্য এবং তার ফাঁক ফোকর রয়েছে তা স্বীকার করেন ওই কর্তা।

ঠিক একই ভাবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কে সন্দেহভাজন এবং কার টেস্ট দরকার কার দরকার নেই য়ে বিষয়ে যে স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে কেরলে তার ক্ষেত্রেও খামতি আছে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ। অর্থাৎ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, তথ্যের স্বচ্ছতা এবং দ্রুত পদক্ষেপ— কেরলের সাফল্যের যে তিনটি প্রধান স্তম্ভ তার সবক’টির ক্ষেত্রেই এ রাজ্যের মডেলে রয়ে গিয়েছে কিছু না কিছু খামতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন