Coronavirus

করোনা সন্দেহে ভর্তি এক

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

নমিতেশ ঘোষ

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২০ ০৮:১১
Share:

ফাইল চিত্র

করোনা সন্দেহে মালয়েশিয়া ফেরত এক ব্যক্তিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হল। শনিবার রাতে জ্বর-কাশি নিয়ে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে গেলে সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়। এর আগেও দু’জন মহিলাকে নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে তাঁদেরও আইসোলেশনে ভর্তি করানো হয়েছিল। পরীক্ষার পরে তেমন কোনও রিপোর্ট না থাকায় তাঁদের ইতিমধ্যেই ‘জেনারেল বেডে’ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভিন্্রাজ্য থেকে ফেরা ১৪৭৫ জনকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিদেশ থেকেও ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত কোয়রান্টিন সেন্টারে অবশ্য কাউকে ভর্তি করানো হয়নি। কোচবিহারের সিএমওএইচ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এক জনকে আইসোলেশনে পরীক্ষার জন্য রাখা হয়েছে। বাকিদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।”

Advertisement

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। শহরের কাছে চকচকায় ৮০ শয্যার একটি কোয়রান্টিন সেন্টার খোলা হয়েছে। এ ছাড়াও জেলার প্রত্যেকটি মহকুমায় একটি করে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দিনহাটায় ২৫ শয্যার একটি কোয়রান্টিন সেন্টার খোলা হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্বাস্থ্য দফতররে কর্মীদের একাংশের মধ্যে। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ওই ওয়ার্ড তৈরি করা হয়নি। একটি ওয়ার্ডে কয়েকটি শয্যা দিয়ে আইসোলেশন ওয়ার্ড নাম দেওয়া হয়েছে। সেখানকার পরিকাঠামো দ্রুত তৈরির কথা জানানো হলেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।’’ কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার রাজীব প্রসাদ বলেন, “আমরা সব রকম ভাবে প্রস্তুত। আর যা প্রয়োজন তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।”

কোচবিহারে কমবেশি তিরিশ লক্ষ মানুষের বসবাস। তাঁদের মধ্যে একাংশ ভিন্্রাজ্যের কাজ করেন। কেউ কেউ বিদেশেও রয়েছেন দীর্ঘসময় ধরে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হতেই সেই বাসিন্দাদের একটি অংশ জেলায় ফিরতে শুরু করেছেন। অনেকেই লন্ডন, মালয়েশিয়া, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছেন। কেউ কেউ আবার কেরল, রাজস্থান, দিল্লি, মহারাষ্ট্র থেকে জেলায় ফিরেছেন। তাঁদের নিয়েই চিন্তিত স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের যাতে কেউই নিয়মের বাইরে না থাকেন সে দিকে নজরদারি শুরু করেছে প্রশাসন। রবিবারও দিল্লি ফেরত কোচবিহার পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন বাসিন্দাকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

কোচবিহারের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল নিজে গিয়ে ওই বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “কেউ আতঙ্কিত হবেন না। প্রত্যেককেই সচেতন ও সাবধান থাকতে হবে। ভিন্্রাজ্য বা বিদেশ থেকে যাঁরা ফিরছেন তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে থাকতে হবে। প্রয়োজনে হাসপাতালে যেতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন