Coronavirus

এবার আদালতেও থার্মাল স্ক্রিনিং, জরুরি মামলা ছাড়া শুনানি স্থগিতের নির্দেশ

একই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে রাজ্যের সমস্ত নিম্ন আদালতেও। সোমবার থেকেই হাইকোর্টের দরজায় শুরু করা হবে থার্মাল স্ক্রিনিং।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২০ ১৭:৩৬
Share:

কলকাতা হাইকোর্ট। —ফাইল চিত্র

করোনার ছায়া এবার আদালতেও। কোভিড ১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে শুধুমাত্র জরুরি মামলা ছাড়া অন্য কোনও মামলার শুনানি হবে না কলকাতা হাইকোর্টে। একই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে রাজ্যের সমস্ত নিম্ন আদালতেও। শুধু তাই নয়, আদালতে কর্মীদের ভিড় কমাতে আদালতে না এসে বাড়ি থেকে কাজের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়। সোমবার থেকেই হাইকোর্টের দরজায় শুরু করা হবে থার্মাল স্ক্রিনিং।

Advertisement

আদালত চত্বরও এমন এক জায়গা যেখানে গণ জমায়েত হয়। আদালতের জমায়েত থেকেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। অথচ আদালত বন্ধ রাখা সম্ভব নয়। তাই আদালতে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় কী কী করনীয়, তা স্থির করার জন্য রবিবার বিশেষ বৈঠকে বসেন কলকাতা হাইকোর্টের তিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।

ওই বৈঠকেই ঠিক হয়, জরুরি মামলা ছাড়া আপাতত অন্য কোনও মামলার শুনানি হবে না। সুপ্রিম কোর্টও ইতিমধ্যেই একই রকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাইকোর্টের ওই তিন বিচারপতির বৈঠকে ঠিক করা হয়েছে, সোমবার থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের তিনটি প্রধান দরজায় উপস্থিত থাকবেন আদালতের চিকিৎসা কর্মীরা। তাঁরা আদালতে ঢোকার সময় সবার থার্মাল স্ক্রিনিং করবেন। শুধু কলকাতা হাইকোর্ট নয়, রেজিস্ট্রার জেনারেল রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানাচ্ছেন যাতে নিম্ন আদালতেও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী মোতায়েন করা হয় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের জন্য।

Advertisement

আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসকে রোখাই প্রথম কর্তব্য, পুরভোট পরেও হতে পারে, বলছেন চিকিৎসকরা​

রেজিস্ট্রার জেনারেলের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আদালতে উপস্থিত কর্মীদের সংখ্যা অর্ধেক করতে। রোটেশনাল পদ্ধতিতে কর্মীরা আসবেন এবং রোটেশন অনুযায়ী যাঁরা আসবেন না তাঁরা উপস্থিত হিসাবেই গণ্য হবেন হাজিরা খাতায়। একান্ত প্রয়োজন না হলে মামলার বাদী-বিবাদী পক্ষের উপস্থিতি প্রয়োজন নেই বলেও জানাচ্ছে এই নির্দেশিকা। বিচারাধীন বন্দিদেরও জেল থেকে হাজির না করে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানির আয়োজন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশের পর গুজরাত, রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে ইস্তফা ৫ কংগ্রেস বিধায়কের​

বার, এজলাস থেকে শুরু করে আইনজীবীদের সেরেস্তাতেও অপ্রয়োজনীয় ভিড় কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীদের বলা হয়েছে, আদালত চত্বরে খুব প্রয়োজন না হলে মক্কেলদের সঙ্গে দেখা না করতে। ঠিক একই ভাবে এজলাসে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর থাকবে। আগামী শুক্রবার ফের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন