Coronavirus in West Bengal

রাজ্যে করোনায় মৃত আরও ছয়, সুস্থতা-হারে স্বস্তি

স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। এ দিন রাজ্যে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৩৬.২৭%।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২০ ০৪:৫৪
Share:

ছবি: পিটিআই।

রাজ্যে মোট মৃত করোনা পজ়িটিভ রোগীর সংখ্যা আড়াইশোয় পৌঁছল। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে সরাসরি করোনার কারণে প্রাণহানি ঘটল ১৭৮ জনের। সেই সঙ্গে কো-মর্বিডিটির কারণে আরও ৭২ জনের মৃত্যু ধরে মোট মৃতের সংখ্যা হল আড়াইশো।

Advertisement

এ দিন নতুন করে ১৩৬ জনের করোনা ধরা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬০ জনই কলকাতার বাসিন্দা। হাওড়ার ২৬, উত্তর ২৪ পরগনার ১৫, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঁচ এবং হুগলির তিন জন বাসিন্দা-সহ আরও আটটি জেলার ২৫ জনের নাম রয়েছে আক্রান্তের তালিকায়। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, কয়েক দিন ধরে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুর, বীরভূমে ধারাবাহিক ভাবে করোনা রোগীর হদিস মিলছে। তাঁদের বেশির ভাগই ভিন্‌ রাজ্যের বাসিন্দা। ভিন্‌ রাজ্যের বাসিন্দাদের হাত ধরে মালদহে যে-ভাবে মোট করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ হয়ে গেল, তাতে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।

তবে স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার। এ দিন রাজ্যে সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৩৬.২৭%। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ৬৮ জন। তালিকায় আছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি ব্লকে চিকিৎসাধীন ৩৯ জন রোগী। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই ৩৯ জনের মধ্যে ১৫ জন মহিলা, তিন জন প্রবীণ, চার জন কলেজপড়ুয়া এবং এক জন স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। সকলকে ফুল-মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা জানিয়ে ১৫টি অ্যাম্বুল্যান্সে বাড়ি পাঠানো হয়। মহা-ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বাড়ি পৌঁছতে যাতে অসুবিধা না-হয়, সেই জন্য মেদিনীপুরের অশীতিপর এক প্রবীণাকে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: কিছুটা ক্ষমতা হ্রাস, আমপান তবুও ‘মারাত্মক’, অভিমুখ সুন্দরবনের দিকে

আরও পড়ুন: দোকানপাট বন্ধ রাখার পরামর্শ, রাজ্যে সরানো হল ৪ লক্ষাধিক মানুষকে

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা পাঁচ জনের অঙ্গীকার, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য তাঁরা প্লাজ়মা দেবেন। কনভালসেন্ট প্লাজ়মা থেরাপি প্রয়োগে চিকিৎসার জন্য চলতি সপ্তাহে প্লাজ়মা সংগ্রহ শুরু করার কথা। কলকাতা মেডিক্যালের ইমিউনো হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগ এই গবেষণার অন্যতম আঁতুড়। প্লাজ়মা প্রক্রিয়াকরণ হবে ওই বিভাগেই।

রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন তথা রাজ্যের মন্ত্রী নির্মল মাজি এ দিন তিন কলেজছাত্র, এক ছাত্রী এবং এক মাঝবয়সি ব্যক্তিকে প্লাজ়মা দানের জন্য অনুরোধ করেন। মন্ত্রী বলেন, ‘‘তাঁদের প্লাজ়মা গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীদের জীবন দান করতে পারে জেনে পাঁচ জনেই প্লাজ়মা দিতে রাজি হয়েছেন।’’ করোনা-যুদ্ধে এই প্রাপ্তি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন