Oxygen Cylinder

অক্সিজেন চাই? হাজির প্রীতম-অদ্রীশরা

এই উদ্যোগ এ বারই প্রথম নয় প্রীতম দাস, অদ্রীশ দে, তমেয় দে, রাজকুমার ভাণ্ডারীর মতো বিশ্বভারতীর এই ছাত্রদের।

Advertisement

বাসুদেব ঘোষ  

বোলপুর শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২১ ০৫:০৬
Share:

অক্সিজেন নিয়ে হাজির কলেজ পড়ুয়ারা। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

ভয়াবহ কোভিড সংক্রমণের মধ্যে চারদিকে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে। অক্সিজেন জোগাড় করতে সাধারণ মানুষকে নাজেহাল হতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে হয়রানির শিকার পরিবারগুলিকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এসেছেন কয়েক জন কলেজ পড়ুয়া। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই পড়ুয়ারাই অক্সিজেন সিলিন্ডার মুমূর্ষু রোগীদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন।

Advertisement

তবে, এই উদ্যোগ এ বারই প্রথম নয় প্রীতম দাস, অদ্রীশ দে, তমেয় দে, রাজকুমার ভাণ্ডারীর মতো বিশ্বভারতীর এই ছাত্রদের। গত বছর লকডাউনের সময়েও তাঁরা কয়েক জন বন্ধু মিলে ত্রিপুরার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো থেকে শুরু করে লকডাউনে অসহায় পরিবারগুলির হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছিলেন। এ বছর সংক্রমণের হার ও মৃত্যু, দুই-ই বেশি। তার উপরে যোগ হয়েছে অক্সিজেনের বিপুল চাহিদা এবং তা না-পেয়ে রোগীর পরিবারের হয়রানি। বোলপুর শহরেও হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিনই অক্সিজেনের জন্য হন্যে হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের।

এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নিয়ে হলেও আবার এগিয়ে আসতে দেখা গেল অদ্রীশ, প্রীতম, তমেয়দের। তাঁদের এই মহৎ উদ্যোগে শামিল হয়েছে বেশ কিছু সেচ্ছাসেবী সংস্থাও। কাদের অক্সিজেনের প্রয়োজন রয়েছে, তা জানার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছেন তাঁরা। আর সেখান থেকেই অক্সিজেনের চাহিদা থাকা পরিবারের সন্ধান মিলছে এবং তাদেরকে অক্সিজেন পেতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন এই পড়ুয়ারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের পোস্ট দেখে প্রথমে দুই-চার জন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ৬০-৭০টি পরিবারের হাতে ওষুধ, অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিচ্ছেন রাজকুমাররা।

Advertisement

বোলপুরের বাসিন্দা পরিমল সরকার, মৃণাল চাকিরা বলেন, “অক্সিজেন জোগাড় করতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছে, বোলপুরে কোথাও কোনও ভাবে অক্সিজেন জোগাড় হচ্ছিল না। তার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই কলেজ পড়ুয়াদের পোস্ট দেখে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারাই অক্সিজেন জোগাড় থেকে পৌঁছে দেওয়া, সমস্ত কিছু ব্যবস্থা করে দেয়।’’ তাঁদের সংযোজন, ‘‘এই অবস্থায় যদি ওই কলেজপড়ুয়ারা না এগিয়ে এলে পরিবারে বড় ধরনের অঘটন ঘটে যেতে পারত। ওদের কাছে চির কৃতজ্ঞ।” প্রীতম, অদ্রীশদের কথায়, অক্সিজেনের জন্য চারিদিকে হাহাকার চলছে। অথচ সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু মানুষ অসৎ পথ অবলম্বন করে টাকা রোজগার করেছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন