Coronavirus in West Bengal

সঙ্কটে সক্রিয় কংগ্রেস, ক্ষোভও

লকডাউনের মধ্যে যাতায়াতের জন্য কংগ্রেস কর্মীদের পাস দেওয়ার আবেদন কলকাতা পুলিশ খারিজ করেছে বলে অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৪১
Share:

খাবার তৈরি করছেন কংগ্রেস কর্মীরা।—ছবি পিটিআই।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। করোনা-যুদ্ধ এবং লকডাউন পরিস্থিতিতে বিপন্নদের সহায়তার জন্য সক্রিয় হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসও। করোনা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে। বিপন্ন মানুষের কাছে জরুরি প্রয়োজনের জিনিস পৌঁছে দেওয়ার কথা কন্ট্রোল রুমের স্বেচ্ছাসেবীদের। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে যাতায়াতের জন্য কংগ্রেস কর্মীদের পাস দেওয়ার আবেদন কলকাতা পুলিশ খারিজ করেছে বলে অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের।

Advertisement

সোমেনবাবু বুধবার বলেন, ‘‘কংগ্রেসের স্বেচ্ছাসেবীরা করোনা পাস পাচ্ছেন না। অথচ মুখ্যমন্ত্রী নিষেধ করা সত্ত্বেও শাসক দলের কর্মীরা রেশন দোকানের সামনে মাতব্বরি করে সরকারি সামগ্রী বণ্টনে ভূমিকা নিচ্ছেন!’’ এরই মধ্যে এ দিন দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, টালিগঞ্জ করুণাময়ীর কাছে তপন সিংহ মেমোরিয়াল হাসপাতালকে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা ও জরুরি পরিষেবার জন্য তৈরি করা হোক। কারণ, এম আর বাঙুর হাসপাতালে এখন করোনার চিকিৎসায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতার নানা এলাকায় খাদ্য ও জরুরি সামগ্রীও বিলি করছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। বালিগঞ্জ-সহ কিছু জায়গায় নিজে হাজির থেকে সেই কাজ করেছেন দলের সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। হাওড়ার শ্যামপুরে প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিচ্ছেন অমিতাভ চক্রবর্তী। অন্য দিকে, পশ্চিম বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলে যৌনকর্মীদের ত্রাণে সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তরুণ রায় ও তাঁর সতীর্থেরা। হেল্পলাইন খুলেছে কলকাতা জেলা ছাত্র পরিষদও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন