Coronavirus in West Bengal

লালারসের নমুনা পরীক্ষায় কড়াকড়ি নয় পরিযায়ীদের

বেশি মাত্রায় উপসর্গ দেখা দিলে তবেই তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা হবে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২০ ০৫:১১
Share:

ছবি পিটিআই।

মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার কড়াকড়ি আর করবে না স্বাস্থ্য দফতর। পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে বিশেষ ট্রেন আসা শুরু হওয়ার পরে ওই তিন রাজ্য থেকে ফেরা শ্রমিকদের লালারস নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছিল জেলা প্রশাসন। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তাঁদের বাড়িতে যেতে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু আপাতত সেই অবস্থান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।

Advertisement

স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার নবান্নে জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের বিপুল সংখ্যায় আগমন, তার সঙ্গে সংশ্লি‌ষ্ট জনস্বার্থের পরিকাঠামো এবং সরকারি নিভৃতবাসে স্বল্প পরিসরের প্রেক্ষিতে সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘উপসর্গবিহীন শ্রমিক বা সামান্য উপসর্গ নিয়ে আসা শ্রমিকদের সরকারি নিভৃতবাসের পরিবর্তে বাড়িতেই রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। বাড়িতে পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা যে অত্যান্ত জরুরি, সেটা ওই শ্রমিকদের বুঝিয়ে বলা হচ্ছে। সজাগ থাকতে বলা হচ্ছে পাড়ার লোক, স্থানীয় প্রশাসনকেও। বেশি মাত্রায় উপসর্গ দেখা দিলে তবেই তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা হবে।’’

নবান্নের অন্দরের খবর, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, তামিলনাডু, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি থেকে আসা শ্রমিকদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে বেশ কিছু পজ়িটিভ রোগী পাওয়া গিয়েছে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়ার মতো জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা ভিন্‌ রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের মাধ্যমেই বেড়ে গিয়েছে। যদিও করোনায় আক্রান্ত হলেও তাঁদের অধিকাংশই উপসর্গহীন। আগামী এক মাস রোজই ভিন্‌ রাজ্য থেকে ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক বাংলায় আসবেন। লালারসের পরীক্ষা করিয়ে তার পরে বাড়ি পাঠালে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে। তা ছাড়া কয়েক লক্ষ শ্রমিককে সরকারি নিভৃতবাসে রাখা এবং খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা খুব সমস্যার। তাই আপাতত উপসর্গহীন বা সামান্য উপসর্গযুক্ত শ্রমিকদের বাড়িতে নিভৃতবাসে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: আবার পুলিশের অন্দরে করোনা, আক্রান্ত এ বার ১৪

শুধু ট্রেন নয় দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে বিমানে বঙ্গে আসা ব্যক্তিদেরও বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। বিদেশ থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের প্রথম সাত দিন হোটেলে বা অতিথিশালায় (নিজেদের খরচে) থাকতে হবে। সাত দিনে করোনার উপসর্গ দেখা না-দিলে পরের ১৪ দিন বিদেশ থেকে ফেরা লোকজনের বাড়িতে থাকা বাধ্যতামূলক বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়ে দিয়েছে।

স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাড়িতে ফিরে পাড়া, মহল্লা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ১৪ দিন কাটালে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা কম। তবে যদি উপসর্গহীন অথচ রোগ বহনকারী শ্রমিক বাড়ি ও পাড়ার বয়স্ক ও শিশুদের সংস্পর্শে আসেন, তা হলে তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। ফলে শ্রমিকেরা বাংলায় ফিরলে জুন-জুলাইয়ে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, সেই বিষয়ে চিন্তায় আছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

আরও পড়ুন: অ্যাডমিট কার্ড আগলে টুম্পা বলছে, পরীক্ষা দেবই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন