Coronavirus

রাজ্যে এক দিনে রেকর্ড আক্রান্ত, আইসিইউ শয্যা বাড়ল

সুস্থতার হার প্রায় ৭৪ শতাংশের (৭৩.৯১) ঘরে পৌঁছে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২০ ০৩:১৬
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংক্রমণের মাপকাঠিতে রেকর্ডের ধারা শনিবারও অব্যাহত রইল বঙ্গে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, এদিন চব্বিশ ঘণ্টায় ৩০৭৪ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। শুক্রবার যা ছিল ৩০৩৫ জন। স্বাধীনতা দিবসে কোভিড পজ়িটিভ মৃত রোগীর সংখ্যা ৫৮ জন। সুস্থতার হার প্রায় ৭৪ শতাংশের (৭৩.৯১) ঘরে পৌঁছে গিয়েছে।

Advertisement

এদিন সারা রাজ্যে ২৬৪৭ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে ১৫ অগস্টের মধ্যে প্রতিদিন ২৫ হাজার নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৪২১৪টি। এর মধ্যে র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্টের সংখ্যা ১৩৯৪৬। রাজ্যে প্রতি দশ লক্ষ জনসংখ্যায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৪২৫০। এদিন মোট আক্রান্ত এবং নমুনা পরীক্ষার মাপকাঠিতে কেস পজ়িটিভিটির হার হল ৮.৯৮ শতাংশ।

Advertisement

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

স্বাধীনতা দিবসে বাংলায় কোভিড আক্রান্তের মৃত্যুর হার হল ২.০৯ শতাংশ। এদিনের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে রাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ শয্যার সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে।

বুলেটিন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৯৪৮ থেকে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২৪৩। ভেন্টিলেটরের সংখ্যা ৭১৫ থেকে বেড়ে ৭৯০। রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও কলকাতা (৬৭১), উত্তর ২৪ পরগনা (৬৪২), হাওড়া (১৯০), হুগলি (১৭৭) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার (১৯০) আক্রান্তের সংখ্যায় খুব হেরফের ঘটেনি।

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন