গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
আরও কমল দৈনিক সংক্রমণ। গত কয়েক দিন ধরেই একটু একটু করে সংখ্যাটা কমছে। রবিবারও একই সেই একই ছবি ধরা পড়ল। স্বস্তির খবর এই যে, দৈনিক সংক্রমণ কমার পাশাপাশি সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যাটাও প্রতি দিন সামান্য হলেও কমছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে সুস্থতার হারও।
রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৫৮০ জন। শনিবার যা ছিল ২ হাজার ৭১০। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৭৯৫। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাটা প্রতি দিন একটু একটু করে কমলেও রবিবার এক লাফে অনেকটাই কমেছে। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ৫৭৩। শনিবার যা ছিল ২৩ হাজার ২৩ হাজার ৩৪।
সুস্থ হওয়ার হারও প্রতি দিন বাড়ছে। যা এই পরিস্থিতিতে একটা সদর্থক দিক বলে মত বিশেষজ্ঞদের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯৯৪। ফলে রবিবার পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ লক্ষ ৯০ হাজার ১৬৫ জন। সুস্থের হার ৯৩.৯৪ শতাংশ। অন্য দিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। এ নিয়ে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৭।
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৬৬৮ জন। মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ১৬ হাজার ২৪২। কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৯ হাজার ৭২২। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৫২ জন। তার পর রয়েছে নদিয়া (১৪৮), হাওড়া (১২৫), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৩১) এবং হুগলি (১১২)।
রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে করোনায় মৃত্যুতেও শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। এই জেলায় মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৭৮২। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের।
প্রতিদিন যত সংখ্যক মানুষের কোভিড পরীক্ষা হচ্ছে এবং তার মধ্যে যত জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে, তাকে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৪১ হাজার ২১৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে এ দিন দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী হওয়ায় সংক্রমণের হার কমে ৬.২৬ শতাংশ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৯৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে রাজ্যে।