Nabanna

Coronavirus in West Bengal: সব জেলায় জোর দ্বিতীয় ডোজ়েই

জেলা প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, গড়পড়তা হিসেব ধরলে এক-একটি জেলায় অন্তত ২০ হাজার মানুষের দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকা পাওয়া বাকি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২১ ০৫:৫৫
Share:

ফাইল চিত্র।

করোনার প্রতিষেধকের ঘাটতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব রাজ্য সরকার। প্রশাসনের অন্দরের বক্তব্য, উপযুক্ত পরিমাণে টিকা পাঠানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে বার বার দাবি জানানো সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে তার জোগান এখনও স্বাভাবিক হয়নি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টিকা নিয়ে সমানে অভিযোগ করে আসছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এ দিকে, জেলায় জেলায় দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকাপ্রাপকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এই অবস্থায় সব জেলা প্রশাসনকেই দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকাকরণের উপরে বাড়তি জোর দেওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন। একই সঙ্গে বালি চুরি রুখতেও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলার পুলিশ-প্রশাসনের কাছে কড়া বার্তা গিয়েছে।

Advertisement

জেলা প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, গড়পড়তা হিসেব ধরলে এক-একটি জেলায় অন্তত ২০ হাজার মানুষের দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকা পাওয়া বাকি। কিন্তু রাজ্যে টিকার জোগান খুবই কম। এই পরিস্থিতিতে প্রথম, দ্বিতীয় ডোজ়ের প্রাপক বা সুপারস্প্রেডার— সকলের চাহিদা মেটাতে নাজেহাল হতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। এ দিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকাপ্রাপকদের অগ্রাধিকার দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এক জেলা-কর্তা বলেন, “প্রথম ডোজ়ের টিকা যাঁরা পেয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ় পাওয়া তাঁদের অধিকার। প্রশাসন তা এড়িয়ে যেতে পারে না।”

প্রশাসনিক কর্তাদের বক্তব্য, প্রায় সব জেলাতেই কোভিড সংক্রমণের হার এখন দৈনিক একশোর নীচে। দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও পুরুলিয়ায় তা দশের নীচে নেমে গিয়েছে। তুলনায় উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর, দার্জিলিঙের মতো জেলায় দৈনিক সংক্রমণের হার কিছুটা বেশি, তবে তা একশোর মধ্যেই রয়েছে। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে মাইক্রো-কন্টেনমেন্ট পদ্ধতির উপরে বাড়তি জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সেই সঙ্গে কোভিড পরীক্ষা, হাসপাতালে সাধারণ এবং অক্সিজেন পরিকাঠামো বাড়ানোর উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। এক জেলা-কর্তা বলেন, “সীমান্তবর্তী জেলাগুলির ক্ষেত্রেও বাড়তি নজরদারি চালাতে হবে।”

Advertisement

মুখ্যসচিবের এ দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে জেলাশাসকেরা ছাড়াও জেলা পুলিশের কর্তারা ছিলেন। বালি চুরি ঠেকাতে প্রত্যেককে সতর্ক করে দিয়েছে নবান্ন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে এই ধরনের অভিযোগ আসায় নবান্ন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন