ভরসন্ধ্যায় কালীঘাটে কোপ দম্পতিকে

কালীঘাট মন্দিরের অদূরে এক বহুতল আবাসন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল এক দম্পতিকে। শনিবার ভরসন্ধেয় জনবহুল এলাকার এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ জানায়, নরেন্দ্র জৈন ও সরলা জৈন নামে ওই দম্পতিকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০৩:২৫
Share:

কালীঘাট মন্দিরের অদূরে এক বহুতল আবাসন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হল এক দম্পতিকে। শনিবার ভরসন্ধেয় জনবহুল এলাকার এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ জানায়, নরেন্দ্র জৈন ও সরলা জৈন নামে ওই দম্পতিকে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতে তাঁদের একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত নিয়ে দু’জনে সেখানেই ভর্তি। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সরলার একটি হাতের কিছুটা অংশ শরীর থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে। মাথায়ও আঘাত আছে।

Advertisement

লালবাজার জানিয়েছে, রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে রোশন নামে ওই দম্পতির এক আত্মীয় ও তাঁর শাগরেদদের নামে অভিযোগ উঠেছে। রোশনের সঙ্গে নরেন্দ্রর ব্যবসা নিয়ে গোলমাল চলছিল। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

কালী টেম্পল রোডের একটি অভিজাত বহুতলে থাকেন জৈন দম্পতি। নরেন্দ্রর বয়স ৫২, সরলার ৪০। নরেন্দ্রর ব্যবসা রয়েছে। রাত আটটা নাগাদ ওই আবাসন থেকে কালীঘাট থানায় খবর যায়, দু’জনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’জনে হাসপাতালে পাঠায়। পরে ঘটনাস্থলে যান লালবাজারের গোয়েন্দা অফিসারেরা। ঘটনাস্থল থেকে আঙুল, রক্ত এবং পায়ের ছাপও সংগ্রহ করা হয়।

Advertisement

পুলিশ জেনেছে, এ দিন সন্ধ্যায় দম্পতির পরিচিত কয়েক জন ফ্ল্যাটে এসেছিল। নরেন্দ্রকে ছাদে নিয়ে গিয়ে মাংস কাটার চপার দিয়ে কোপানো হয়। পরে সরলাকে ঘরেই কোপানো হয়েছে। তদন্তকারীদের মতে, পরিচিত বলেই এ ভাবে কোপাতে পেরেছে হামলাকারীরা। সেই সূত্রেই রোশনের নাম সামনে এসেছে। রোশনের সঙ্গে পেশাদার দুষ্কৃতীরাও এসেছিল বলে মনে করছে পুলিশের একাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন