Recruitment Scam

টাকা দিয়ে নিয়োগপত্র পাওয়া কয়েক জন সাক্ষী হলেন কী ভাবে? সিবিআইকে প্রশ্ন কোর্টের

আলিপুরের সিবিআই আদালতের বিচারক এ দিন ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আইনজীবী ও তদন্তকারী অফিসারকে বলেন, ‘‘বিষয়টি আদালত অবমাননার শামিল।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২৩ ০৭:৩৬
Share:

আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল সিবিআইকে। ফাইল চিত্র।

যাঁদের অভিযুক্ত হিসেবে দেখানোর কথা, সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাঁদের কয়েক জনকে সাক্ষী হিসেবে দেখিয়েছে বলে আদালতের পর্যবেক্ষণ। জেরায় জেরায় জেরবার করে তদন্ত চালানোই যাদের কাজ, এই বিষয়ে সেই সিবিআই-কে শুক্রবার আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আলিপুরের সিবিআই আদালতের বিচারক এ দিন ওই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আইনজীবী ও তদন্তকারী অফিসারকে বলেন, ‘‘বিষয়টি আদালত অবমাননার শামিল।’’

Advertisement

যাঁরা বাঁকা পথে টাকা দিয়ে বেআইনি ভাবে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের অনেকে এখনও চাকরি করছেন। সেই সব ব্যক্তিকে অভিযুক্ত হিসেবে গণ্য করে তাঁদের বিরুদ্ধে ‘প্রিভেনশন অব করাপশন অ্যাক্ট’ বা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের সাত নম্বর ধারা প্রয়োগ করার জন্য তদন্তকারী অফিসারকে ২০২২ সালের ৯ অক্টোবর নির্দেশ দিয়েছিল ওই সিবিআই আদালত। কিন্তু আদালত সূত্রের খবর, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় কুন্তল‌ ঘোষ, তাপস‌ মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সিবিআই যে-চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে টাকা দিয়ে নিয়োগপত্র পাওয়া কয়েক জনের নাম সাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করেছে সিবিআই। অভিযুক্ত না-করে চার্জশিটে ওই ব্যক্তিদের সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে কেন, এ দিন সেই প্রশ্নই তুলেছে আদালত। সংশ্লিষ্ট নির্দেশ কেন উপেক্ষা করা হয়েছে, ৩০ মে, পরবর্তী শুনানির দিন মামলার যাবতীয় নথি নিয়ে হাজির হয়ে তার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সিবিআইয়ের কৌঁসুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এ দিন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় জেল হেফাজতে থাকা নাইসা-র আধিকারিক নীলাদ্রির জামিনের শুনানি হয়। নীলাদ্রির আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘প্রথম চার্জশিটে আমার মক্কেলের নাম ছিল না। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে নাম দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনে। এসএসসি-র কাছ থেকে পাঠানো নথির ভিত্তিতে নাইসা-য় ‘ওএমআর শিট’ বা উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করা হয়েছে। আমার মক্কেল কোনও ভাবেই দুর্নীতিতে জড়িত নন।’’ সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘‘এসএসসি ও নাইসা-র যোগসাজশে দুর্নীতি হয়েছে। ৭৪ নম্বরকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯৪। ওই আধিকারিক যে তাতে জড়িত, তার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।’’

Advertisement

বিচারক তার পরে সিবিআইয়ের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘ওই আধিকারিকের গোপন জবানবন্দি নিন। আরও তথ্য হাতে আসতে পারে।’’ আদালত নীলাদ্রির জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বলে আইনজীবীদের সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন