COVID-19

Covid: ভাইরাসের পাশাপাশি যুদ্ধ মানসিক অবসাদের বিরুদ্ধেও, দিশার খোঁজে হেল্পলাইন মা ও মেয়ের

অবসাদগ্রস্তদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার উদ্দেশ্যে ওই হেল্পলাইন চালু করছে ‘কেয়ারিং মাইন্ডস’ নামে একটি সংস্থা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২১ ২০:৩২
Share:

মিনু এবং প্রিয়ম বুধিয়া। নিজস্ব চিত্র।

করোনা অতিমারির আবহে উদ্বেগ আর মানসিক চাপ বাড়ছে আশঙ্কাজনক ভাবে। বেড়ে চলেছে, গৃহবন্দি অবস্থায় একাকিত্বজনিত মানসিক অবসাদের ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হেল্পলাইন চালু করতে চলেছে ‘কেয়ারিং মাইন্ডস’ নামে একটি সংস্থা। সপ্তাহে ৭ দিনই সকাল ৯ থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত ওই ‘ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর’ (১৮০০-৮৯১-৩০২১)-এ ফোন করে মনোবিদ এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া যাবে।

Advertisement

গত ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা পরিস্থিতির জেরে ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। জীবন ও জীবিকা ঘিরে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তায় বাড়ছে মানসিক অবসাদ। আর মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির ক্ষেত্রে বয়স, লিঙ্গ, শ্রেণির কোনও ভেদাভেদ দেখা যাচ্ছে না। এমন আবহে এই হেল্পলাইন কোভিড-১৯ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আলোর রেখা দেখাবে বলে মনে করছেন সংস্থার প্রধান মিনু বুধিয়া এবং তাঁর কন্যা প্রিয়ম।

‘কেয়ারিং মাইন্ডস’-এর প্রতিষ্ঠাতা-অধিকর্তা মিনু পেশায় মনোবিদ। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের অনেক সহ-নাগরিকই এখন অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে। প্রতিদিন তাঁরা মানসিক চাপ, উদ্বেগ, অবসাদ আর অসহায়তার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন। তাঁদের কাছে আমরা একটাই বার্তা দিতে চাই— এই লড়াইয়ে আপনি একা নন।’’ তিনি জানিয়েছেন, ওই নম্বরে ফোন করে যে কোনও ব্যক্তি তাঁর মানসিক উৎকণ্ঠা, উদ্বেগের কথা জানাতে পারেন। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে অবসাদজনিত পরিস্থিতির কথা ভাগ করে নিতে পারেন। অত্যন্ত সদর্থক ভাবেই তাঁদের অনুভূতিগুলি বিবেচনা করে মানসিক স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা হবে। গোপনীয় রাখা হবে ব্যক্তিগত পরিচয়।

Advertisement

সংস্থার আর এক কর্ণধার প্রিয়মের মতে, কোভিড আবহে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ এখন জীবন এবং মন দু’টিই হারাচ্ছে। আমরা অন্ধকারে ঘেরা এই সমুদ্রে আশার বাতিঘর হয়ে উঠতে চাই।’’ শুধু করোনা পরিস্থিতি নয়, ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘কেয়ারিং মাইন্ডস’-এর মনোবিদ এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞেরা ধারাবাহিক ভাবে শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সব বয়সের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার লড়াইয়ে অংশ নিয়ে চলেছে বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন