প্রতীকী ছবি।
শত প্রচার, সচেতনতা অভিযান সত্ত্বেও কিছু মানুষের মানসিকতা কিছুতেই বদলানো যাচ্ছে না। লড়়াইটা রোগের বিরুদ্ধে, রোগীর বিরুদ্ধে নয়—এই সারমর্ম তাঁদের হৃদয়াঙ্গম হচ্ছে না।
এই ধরনের মানসিকতার কিছু লোকই করোনা আক্রান্ত এক যুবককে একঘরে করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তেহট্ট থানা এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়।
দেড় মাস আগে ভিন রাজ্য থেকে বাড়়ি ফেরে আঠারো বছরের ওই যুবক। তাঁর বাড়ি তেহট্ট থানার নওদাপাড়া এলাকায়। ফেরার পর তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাড়ির অন্য সদস্যদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় আইসোলেশন কেন্দ্রে। ওই এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন হয়।
কিন্তু অভিযোগ, ওই যুবক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর শুরু হয় প্রতিবেশীদের একাংশের অভব্য আচরণ ও গালাগালি। তাঁরা ওই যুবককে পাড়া ছাড়ার জন্যও চাপ দিতে থাকেন। তাঁকে দেখে ‘করোনার রোগী' বলে চিৎকার করতে থাকেন, নিজের থেকে না গেলে তাঁকে পাড়়া তাড়িয়ে দেওয়ার উস্কানিও দিতে থাকেন বলে অভিযোগ।
এর পর এই যুবক তেহট্ট থানায় গিয়ে গোটা বিষয়টি জানান। পুলিশ ওই যুবককে সঙ্গে নিয়ে তাঁর পাড়ায় যায় এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের বোঝায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃষাণু রায় বলেন, ‘‘ওই যুবকের থেকে সব জেনে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর বাড়ি যাই। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আশ্বস্ত করি। এরপরেও যদি একই ঘটনা ঘটে সে ক্ষেত্রে পুলিশ উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।’’