Singur

সিপিএমের পায়ের তলায় মাটি নেই সিঙ্গুরে, তৃণমূল সমবায় দখলের পর মন্তব্য মন্ত্রী বেচার

হুগলির সিঙ্গুরের ছিনামোড় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে ৫৭টি আসনের মধ্যে ৫৩টির দখল নিয়েছে তৃণমূল। বামেরা সব ক’টি আসনে প্রার্থী দিলেও ৪টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৩৩
Share:

সিপিএম ভোট লুটের অভিযোগ করলেও পাল্টা কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না। —ফাইল চিত্র।

সিঙ্গুরে সিপিএমের পায়ের তলায় জমি নেই। বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে সমবায় নির্বাচনের লড়াইয়ে নামলেও তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে গ্রামের মানুষ। ছিনামোড় সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী তথা সিঙ্গুরের বিধায়ক বেচারাম মান্না। যদিও সিপিএমের দাবি, ভোট লুট করে এই সমবায়ের দখল নিয়েছে শাসকদল।

Advertisement

হুগলির সিঙ্গুরের ওই সমবায়ের ৫৭টি আসনের মধ্যে ৫৩টির দখল নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। বামেরা সব ক’টি আসনে প্রার্থী দিলেও ৪টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। অন্য দিকে, ১৮টিতে প্রার্থী দিলেও নিরাশ হতে হয়েছে বিজেপিকে। রবিবার এই সমবায়ের ফলাফল ঘোষণার আগেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট লুটের অভিযোগ করেছিল সিপিএম। তবে সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে বেচারামের কটাক্ষ, ‘‘নাচতে না জানলে উঠোনের দোষ!’’

সমাজমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের জন্য রবিবার এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বেচারাম। সে সময় সিপিএমের ভোট লুটের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। তার জবাবে বেচার দাবি, ‘‘সিঙ্গুরে সিপিএমের পায়ের তলায় মাটি নেই। বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে ভোট করতে নেমেছিল। তবে মানুষ যোগ্য জবাব দিয়েছে। সমবায়ের সূচনা পর্বে ২০০৩ সাল থেকে স্বজনপোষণ করেছে সিপিএম। প্রকৃত চাষিদের বা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের সমবায়ে রাখা হয়নি। আজ (রবিবার) গ্রামের সাধারণ মানুষেরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়ে তাদের হঠিয়ে দিয়েছেন।’’ বেচার আরও দাবি, ‘‘সমবায় নির্বাচনের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুৎসা করে তা সমাজমাধ্যমে ছড়ানোর চেষ্টা করেছে ওরা।’’

Advertisement

এই সমবায় নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও শাসকদল সেগুলি বলপূর্বক দখল করেছে বলে দাবি সিপিএমের হুগলি জেলা নেতৃত্বের। জেলার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সমবায় গ্রামের মানুষজনের জন্য তৈরি হয়। এতে কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয় জড়িত নয়। গ্রামের কৃষকেরা ঋণ নেন। নানা ধরনের সামাজিক কাজও হয়। এই সমবায়ের ৪টি আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি তৃণমূল। তবে ৫৩টি আসন জোর করে দখল করল। ভোট লুট করেছে। আসলে শুধু সিঙ্গুরে নয়, বীরভূম-সহ বিভিন্ন জেলায় সমবায়গুলি দখল করেছে ওরা। লুটেপুটে খাওয়া ছাড়াও দুর্নীতির টাকা এই সমবায় ব্যাঙ্কগুলিতে রাখাই উদ্দেশ্য। আসলে বামপন্থীরা যে সমবায় ব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল, তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চায় তৃণমূল। তারই তাণ্ডবলীলা আজ (রবিবার) সিঙ্গুরে দেখা গেল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন