‘দিদিকেই বলছি’, প্রশ্ন তুলে পাল্টা সিপিএমের

তৃণমূল নেত্রীর নতুন জনসংযোগ কৌশল ঘোষণা হওয়ার পরে প্রাথমিক ভাবে ১০ দফা প্রশ্ন তাঁর উদ্দেশে ভাসিয়ে দিয়েছে সিপিএম। সেখানে কালীঘাটে গিয়ে তৃণমূল কর্মী প্রসূন দত্তের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা থেকে রাজ্যের ঋণ বৃদ্ধি বা পঞ্চায়েতে ভোট লুঠ— সব প্রসঙ্গই আছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০৩:০৫
Share:

ফাইল চিত্র।

জনসংযোগ ঝালিয়ে নিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন ‘দিদিকে বলো’। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এক ঝাঁক প্রশ্ন তুলে পাল্টা প্রচারে নেমে পড়ল সিপিএম। ‘দিদিকেই বলছি’ নাম দিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশিই দিদিকে বলার লক্ষ্য সামনে রেখে দলের নানা গণসংগঠনকে নানা কর্মসূচিতে পথেও নামাচ্ছে তারা।

Advertisement

তৃণমূল নেত্রীর নতুন জনসংযোগ কৌশল ঘোষণা হওয়ার পরে প্রাথমিক ভাবে ১০ দফা প্রশ্ন তাঁর উদ্দেশে ভাসিয়ে দিয়েছে সিপিএম। সেখানে কালীঘাটে গিয়ে তৃণমূল কর্মী প্রসূন দত্তের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা থেকে রাজ্যের ঋণ বৃদ্ধি বা পঞ্চায়েতে ভোট লুঠ— সব প্রসঙ্গই আছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে সে সব প্রশ্ন। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘এই সব প্রশ্ন তো দিদির জন্য আছেই। দিদি কি উত্তর দেবেন? এত দিন দেননি!’’ কিন্তু নির্দিষ্ট নম্বরে ফোন বা ওয়েবসাইটে মেল করে ‘দিদিকে বলো’য় যোগাযোগ করতে হবে। সিপিএম কি তা-ই করবে? দলীয় সূত্রের বক্তব্য, ফোন করে যাওয়ার কোনও কর্মসূচি তাদের নেই। তবে মঙ্গলবার একটি নম্বর থেকে অন্তত বারচারেক ফোন করেও ‘দিদিকে বলো’র সাড়া মেলেনি বলে সুজনবাবুর অভিযোগ।

‘দিদিকে বলো’র ট্যাগলাইন ব্যবহার করেই সিপিএমের যুব বা ছাত্র সংগঠন এখন কর্মসূচি নিতে শুরু করেছে। যেমন, ডিওয়াইএফআই আগামী ৭ অগস্ট কলকাতা পুরসভা অভিযানের জন্য স্লোগান করেছে— ‘দিদিকে বলো, পুরসভার ২৬ হাজার শূন্য পদে স্থায়ী নিয়োগ চাই’। একই ভাবে পথে নামছে ছাত্র সংগঠন এসএফআই-ও।

Advertisement

প্রথম দফায় যে সব প্রশ্ন সিপিএমের তরফে মমতার উদ্দেশে তোলা হয়েছে, তার মধ্যে আছে সরকারে এসে তাঁর ২০০ দিনের ‘ভিশন ডকুমেন্টে’র প্রসঙ্গ। যেখানে বলা হয়েছিল, রাজ্য জুড়ে ‘শিল্পনগরী শৃঙ্খল’ গড়ে তোলা হবে। সরকারে ২৯২০ দিন কেটে যাওয়ার পরেও শিল্প কোথায়, প্রশ্ন তুলেছে সিপিএম? প্রশ্ন উঠেছে, বাংলায় ৪৫০ থেকে গত ৮ বছরে বেড়ে আরএসএসের শাখার সংখ্যা ১৬২৫ কেন হল? স্বাধীনতার পর থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা। পরের ৮ বছরেই কেন দু’লক্ষ তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ ( মোট অঙ্ক তিন লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি) নিতে হল? আইনশৃঙ্খলার এমন হাল কেন যে, ২১৮ জন বাম কর্মীকে খুন হতে হল? পুলিশকে কেন লুকোতে হল টেবিলের তলায়? মমতা রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তৃণমূলের নেতাদের টাকা দিয়েও চাকরি না পাওয়ার অভিযোগ করে বাঁশবেড়িয়ার প্রসূন দত্ত গায়ে আগুন দিয়েছিলেন কেন?

সুজনবাবুর বক্তব্য, ‘‘প্রকল্প দলের না সরকারের, প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীকে করতে হবে কি না, বলা হয়নি। অন্য নেতা-মন্ত্রীদের বলে কোনও লাভও নেই। এখন দেখানো হচ্ছে, ‘দিদি’ই সব। দিদি উত্তর দেন কি না, দেখা যাক!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন