CRPF

পুরুলিয়ায় সিআরপি মোতায়েন

দশ বছর পরে, সম্প্রতি পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলের ছ’টি শিবির ছেড়েছে নাগা বাহিনী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৫১
Share:

—ফাইল চিত্র।

কাশ্মীর থেকে আসা দু’কোম্পানি সিআরপি মোতায়েন করা হল পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে। রবিবার পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগান বলেন, ‘‘বলরামপুরের কুমারী কানন ও কোটশিলার মুরগুমা শিবিরে সিআরপি জওয়ানদের পাঠানো হয়েছে।’’

Advertisement

মাওবাদী প্রভাবিত এলাকার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার ঝাড়গ্রামে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। ২০১১ সালের নভেম্বরে মাওবাদী শীর্ষনেতা কিষেনজির মৃত্যুর পরে জঙ্গলমহলে আর নাশকতা ঘটেনি। তবে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, অগস্টে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকে গালুডি-ঘাটশিলা-পটমদা এলাকায় এ রাজ্যের এক মাওবাদী শীর্ষ নেতার গতিবিধির কথা উঠে এসেছে। গত বছর দুয়েক ওই নেতার কোনও খবর ছিল না। আইজি (বাঁকুড়া রেঞ্জ) রাজারাম রাজশেখরন অবশ্য বলেন, ‘‘সমন্বয় বৈঠকে আদানপ্রদান হওয়া তথ্য বাইরে প্রকাশ করা যায় না। তবে, আমাদের এলাকায় কোনও মাওবাদী সক্রিয়তা এখন নেই।’’

দশ বছর পরে, সম্প্রতি পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলের ছ’টি শিবির ছেড়েছে নাগা বাহিনী। পুলিশ সূত্রের খবর, সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে পাহাড়ি জঙ্গল এলাকায় লড়াইয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়া রাজ্য পুলিশের ‘স্ট্রা’ (স্পেশ্যাল ট্রেনড র্যাপিড অ্যাকশন) জওয়ানদের। এ বার বলরামপুর ও আড়শার শিবির দু’টিতে সিআরপি এল। আগে থেকেই সিআরপি-র ক্যাম্প ছিল বান্দোয়ান ও বরাবাজারে। ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বান্দোয়ানের বিভিন্ন রাস্তায় সম্প্রতি তারা রাজ্য পুলিশের সঙ্গে নাকা তল্লাশি ও ‘এরিয়া ডমিনেশন’ শুরু করেছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘মাওবাদীদের গতিবিধি নিয়ে আমাদের কাছে মাঝেমাঝেই নানা খবর আসে। রুটিন নজরদারি চালানো হচ্ছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন