Cyclone Amphan

সময় ও প্রমাণ নিয়ে চিন্তিত আমপান টিম

এক জন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত যাতে বাদ না পড়েন। সে কারণে নতুন করে আবেদনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে । 

Advertisement

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২০ ০২:১৬
Share:

ফাইল চিত্র।

বাড়িতে লেগেছিল আমপানের ঝাপটা। তাতে বাড়ি আর বসবাসের যোগ্য ছিল না। কোথাও আবার কোনও একটা অংশ ভেঙেছিল। আড়াই মাস পরেও তা নিয়ে ফের এক দফায় আবেদনের সুযোগ পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত। আর ময়দানে নেমে ওই আবেদনের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য মাত্র পাঁচ দিন সময় পাবেন সরকারি আধিকারিকদের স্পেশাল টিম বা বিশেষ দল। তবে এত অল্প সময়ের মধ্যে কী করে সবটা শেষ করা যাবে, তা নিয়ে সন্দিহান আট জেলার বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের অনেকে। মঙ্গলবার আমপানের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কয়েকটি জেলায় বৈঠক হয়। সেখানে সময়ের বিষয়ে অনেকেই নানা মত দিয়েছেন।

Advertisement

আজ বৃহস্পতিবার ও আগামিকাল শুক্রবার, ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও) এবং মহকুমাশাসক (এসডিও) দফতরে থাকা ড্রপ বক্সে আবেদন জমা দিতে পারবেন আমপানে বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়া, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। আর আগামী ১২ অগস্ট, বুধবারের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর বাড়ি পৌঁছে সেই আবেদন খতিয়ে দেখার কাজ সম্পূর্ণ করবেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তেমনই নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। কিন্তু ৮ অগস্ট, শনিবার লকডাউন, পরেরদিন রবিবার (ছুটির দিন) আর ১১ অগস্ট জন্মাষ্টমীর ছুটি। দু'দিন ড্রপ বক্সে আবেদনের সঙ্গেই সরকারি আধিকারিকদের স্পেশাল টিমকে যাচাই করতে হবে আগে জমা পড়া দাবিও। ফলে এই অল্প সময়ের মধ্যে কী করে এলাকায় পৌঁছে সব তথ্য খতিয়ে দেখা সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তবে এই দু’দিনে কত আবেদন জমা পড়ে, তা না দেখে এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে না বলে জানাচ্ছেন রাজ্য প্রশাসনের অনেকেই। তাঁদের মতে, আমপানে বাড়ির ক্ষতিগ্রস্তদের সিংহভাগ ইতিমধ্যে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। নানা কারণে কম সংখ্যক প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতিপূরণের অর্থ পাননি। কিন্তু সরকারের লক্ষ্য, এক জন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত যাতে বাদ না পড়েন। সে কারণে নতুন করে আবেদনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে ।

তবে আবেদন যাচাইয়ের সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয়নি বলে জানাচ্ছেন রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা। আড়াই মাস পরে এই তথ্য যাচাই যথেষ্ট অসুবিধার হবে, তা-ও বলছেন অনেকে। তাঁদের মতে, বর্ষার মধ্যে এত দিন বাড়ি মেরামত না-করে কেউ নেই বললেই চলে। টাকা ধার করে হলেও মেরামত করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। ফলে এখন এলাকায় গিয়ে আশেপাশের মানুষজনের থেকে শোনা ছাড়া আর খুব বেশি প্রমাণ জোগাড় করে যাবে না।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন