কৃষির তথ্য এলেই ক্ষতিপূরণ দাবি

ফণী-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত সোমবার বায়ুসেনার কলাইকুন্ডা বিমানবন্দরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ০৩:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় ফণীর দাপটে রাজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি। তার মধ্যে পাঁচ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রাথমিক হিসেবে এই তথ্য মিলেছে। কৃষি দফতর শস্যহানির ক্ষয়ক্ষতির হিসেব কষছে। তা পাওয়ার পরেই রাজ্য ক্ষতিপূরণ বাবদ কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য টাকা দাবি করবে বলে মঙ্গলবার জানান নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা।

Advertisement

ফণী-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গত সোমবার বায়ুসেনার কলাইকুন্ডা বিমানবন্দরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক যুগ্মসচিব রবিবার মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে এই বিষয়ে অনুরোধ জানান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের মাঝখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাননি। চিঠি লিখে নবান্নের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নবান্ন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে বার্তা পাঠিয়ে জানায়, সোমবার রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন থাকায় মুখ্যসচিব মলয় দে বা স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য কেউই কলকাতা ছেড়ে খড়গপুর যেতে পারবেন না। তার পরে দিল্লি বৈঠক নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করেনি। মোদী ওড়িশায় গিয়ে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে কথা বলে এ রাজ্যে ভোট-প্রচারে চলে আসেন।

শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবের সঙ্গে ভিডিয়ো-সম্মেলন করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে ঝড়ে বাংলার কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানতেই ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রাজ্যের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন মলয়বাবু। প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে দফায় দফায়। সবটা হয়ে গেলে কেন্দ্রে রিপোর্ট পাঠানো হবে।’’

Advertisement

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুর-১ ব্লক, দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বহু কাঁচাবাড়ি ভেঙেছে। পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও বর্ধমানে কৃষির ক্ষতির সমীক্ষা শুরু করেছে কৃষি দফতর। ক্ষতির রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী অাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন