পেতাই-এর পর পাবুক, ঘূর্ণিঝড়ে ফের বাধার মুখে শীত

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আন্দামান পেরিয়ে পাবুক উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসবে। তার ফলে উত্তুরে হাওয়া বাধা পাবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতে। অর্থাৎ শীতের পথে সাময়িক কাঁটা বিছোনোর আশঙ্কা প্রবল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:৫২
Share:

সমুদ্র উপকূলের মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।

ইনিংসের গোড়াতেই ঘূর্ণিঝড় ‘পেতাই’-এর বাউন্সারের মুখে পড়েছিল শীত। এ বার তার পথে পাথর ছড়াতে চলেছে নতুন ঘূর্ণিঝড় ‘পাবুক’। তবে মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে তার আছড়ে পড়ার আশঙ্কা নেই বলেই জানাচ্ছে দিল্লির মৌসম ভবন।

Advertisement

পাবুক নামটি দিয়েছে লাওস। সে-দেশের ভাষায় এর অর্থ, মিষ্টি জলের বড় মাছ। মৌসম ভবন জানিয়েছে, পাবুক বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চিন সাগরে রয়েছে। শনিবার সে আন্দামান সাগরে হাজির হতে পারে। তাই শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আন্দামানে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে রবিবার। সাগর উত্তাল থাকায় দ্বীপপুঞ্জের মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আন্দামান পেরিয়ে পাবুক উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে আসবে। তার ফলে উত্তুরে হাওয়া বাধা পাবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতে। অর্থাৎ শীতের পথে সাময়িক কাঁটা বিছোনোর আশঙ্কা প্রবল। সঞ্জীববাবু বলেন, ‘‘পাবুকের প্রভাবে দিন দুয়েক রাতের তাপমাত্রা বাড়বে। মূল ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে কিছু দূর এগিয়ে ফের বাঁক নিয়ে মায়ানমারের দিকে রওনা দেবে ওই ঘূর্ণিঝড়।’’

Advertisement

কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে শীতের দাপট অবশ্য ইতিমধ্যেই কমে গিয়েছে। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখনও রয়েছে স্বাভাবিকের নীচেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, উত্তর-পশ্চিম ভারতে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা (ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা ভারী হাওয়া) কাশ্মীরে এসেছে। তার ফলে উত্তুরে হাওয়ার পথে বাধা পড়ছে। ঠান্ডা কনকনে হাওয়া তেমন আসছে না।

হাওয়া অফিসের খবর, এ দিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। দমদম ১১.৪ ডিগ্রি। পানাগড়ে রাতের পারদ থিতু হয়েছে ৮.৩ ডিগ্রিতে, শ্রীনিকেতনে রাতের তাপমাত্রা নেমেছিল ৮.৮ ডিগ্রিতে। রাঁচী, পটনায় তাপমাত্রা আরও কিছুটা কম ছিল। গয়ায় এখনও হাড়কাঁপানো শীত চলছে। কনকনে ঠান্ডা উত্তরবঙ্গেও। শিলিগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫.৫ ডিগ্রি। কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে রাতের পারদ নেমেছিল যথাক্রমে ৬.১ এবং ৬.৮ ডিগ্রিতে। সঞ্জীববাবু বলেন, ‘‘শনিবার পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচেই থাকবে।’’ দিল্লি, হরিয়ানা-সহ উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ভারতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা বে়ড়েছে। এ দিন দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন