কল্পতরুতে দিনভর খোলা দক্ষিণেশ্বর

মন্দির সূত্রের খবর, সোমবার ভোর চারটেয় মন্দির খুলবে। বন্ধ হবে রাত দশটায়। শুধু দুপুর দেড়টা থেকে দুটো পর্যন্ত ভোগের জন্য মন্দির বন্ধ থাকবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ০১:২৯
Share:

কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই কাল, সোমবার সারা দিন খোলা থাকছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির।

Advertisement

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই মন্দির ভোরে খোলার পরে দুপুরে বন্ধ হয়ে যায়। ফের বিকেলে খোলা হয়। বন্ধ হয় রাতে। দুপুর ও বিকেলের মাঝে বেশ কয়েক ঘণ্টা মূল মন্দিরে প্রবেশের এবং পুজো দেওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু কল্পতরু উৎসবে কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় সামাল দিতেই মন্দির সারা দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্দির সূত্রের খবর, সোমবার ভোর চারটেয় মন্দির খুলবে। বন্ধ হবে রাত দশটায়। শুধু দুপুর দেড়টা থেকে দুটো পর্যন্ত ভোগের জন্য মন্দির বন্ধ থাকবে।

পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণেশ্বরে কল্পতরু উৎসব উপলক্ষে তৈরি হচ্ছে নিরাপত্তা বলয়। গোটা মন্দির চত্বরে নজরদারির জন্য ছ’টি নজর-মিনারে দূরবীন-সহ থাকবে আগ্নেয়াস্ত্রধারী পুলিশ। থাকবে বম্ব স্কোয়াড, পুলিশ কুকুর। বেলঘরিয়া ও বরাহনগর থানার পাশাপাশি ব্যারাকপুর কমিশনারেট থেকেও কয়েকশো পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে মন্দির চত্বরে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মোকাবিলায় থাকবে র‌্যাফ ও কুইক রেসপন্স টিম। সাদা পোশাকে মন্দির, সংলগ্ন এলাকা ও রাস্তায় নজরদারি চালাবেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসার ও কর্মীরা। মন্দির সংলগ্ন তিনটি ঘাট-সহ ফেরিঘাটে রাখা হবে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের। ব্যারাকপুর পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘মন্দির চত্বরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে।’’

Advertisement

পুলিশের পাশাপাশি কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষও। ৩০টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মন্দিরের অফিস ও পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে গোটা চত্বরে নজরদারি চালানো হবে। দক্ষিণেশ্বর মন্দির অছি পরিষদের সম্পাদক কু‌শল চৌধুরী জানান, মন্দিরের নিজস্ব ৪৫ জন নিরাপত্তারক্ষীকে ভিড় সামলাতে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। মূল মন্দিরে প্রবেশের আগে ভিড় সামলাতে তৈরি হচ্ছে বাঁশের ব্যারিকেড ও চ্যানেল। তা ছাড়া, ওই দিন পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের লাইন যেহেতু এক দিকে বালি ব্রিজ ও অন্য দিকে আড়িয়াদহ পেরিয়ে যাবে, তাই ভিড় ভাগ করে দিতে মন্দিরের বিভিন্ন অংশে দড়ির ব্যারিকেড থাকবে।

কুশলবাবু জানান, ভোর চারটে নাগাদ ভবতারিণীর মন্দির ও শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরে মঙ্গলারতি দিয়ে উৎসবের সূচনা হবে। ভবতারিণীর পাশাপাশি শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরেও সে দিন বিশেষ হোম ও পুজো-পাঠের আয়োজন হবে। প্রাতরাশে জিলিপি ও বোঁদে দেওয়া হবে শ্রীরামকৃষ্ণকে। পরে তা দর্শনার্থীদের বিলি করা হবে। দুপুরে ভাত, পাঁচ রকমের ভাজা, মাছ ও পাঁচ রকমের মিষ্টি ভোগ দেওয়া হবে।

ওই দিন বালির দিক থেকে আসা লোকজনকে ব্রিজের পাশের সিঁড়ি দিয়ে নেমে এক নম্বর পার্কিংয়ের গেট দিয়ে মন্দিরে ঢুকতে হবে। অন্য জেলা কিংবা কলকাতার দিক থেকে যাঁরা যাবেন, তাঁদের হীরালাল কলেজের রাস্তা এবং সেনাবাহিনীর ক্যাম্পাসের ভিতরের রাস্তা ব্যবহার করে মন্দিরের পিছনের গেট দিয়ে ঢুকতে হবে। তবে সকলকেই বেরোতে হবে মন্দিরের মূল গেট, রানি রাসমণি রোড দিয়ে। স্কাইওয়াকের কাজের জন্য ওই রাস্তা এত দিন বন্ধ ছিল। বালি ব্রিজ থেকে আসা গাড়ি রাখতে হবে রেল কলোনির মাঠে। কলকাতার দিক থেকে আসা গাড়ি থাকবে নিবেদিতা সেতুর নীচে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন