State News

সমুদ্র উত্তাল দিঘায়, পাড়ে বসেই দেখতে হচ্ছে পর্যটকদের

মঙ্গলবার দিঘাতেও উত্তাল হয়ে উঠল সমুদ্র। জলোচ্ছ্বাসে ঢেউ উপচে পড়ছে দিঘার সৈকত সরণিতে। পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। অগত্যা সৈকত সরণিতে বসেই ঢেউয়ের মজা নিচ্ছেন পর্যটকরা।

Advertisement

শান্তনু বেরা

দিঘা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৮ ১৩:৪১
Share:

জলোচ্ছ্বাসে ঢেউ উপচে পড়ছে দিঘার সৈকত সরণিতে। নিজস্ব চিত্র।

অমাবস্যার কোটালে উত্তাল সমুদ্র। জলোচ্ছ্বাসে কয়েক দিন ধরেই ভাসছে মন্দারমনি, তাজপুর ও শঙ্করপুরের মতো সমুদ্র উপকুলবর্তী পর্যটনকেন্দ্রগুলি। মঙ্গলবার দিঘাতেও উত্তাল হয়ে উঠল সমুদ্র। জলোচ্ছ্বাসে ঢেউ উপচে পড়ছে দিঘার সৈকত সরণিতে। পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। অগত্যা সৈকত সরণিতে বসেই ঢেউয়ের মজা নিচ্ছেন পর্যটকরা।

Advertisement

দিঘার পরিস্থিতি কড়া হাতে সামলানোর চেষ্টা করছে প্রশাসন। সৈকত সরণির গার্ডওয়াল পেরিয়ে যাতে কোনও পর্যটক সেখানে যেতে না পারেন, সে ব্যাপারে কড়া নজর রয়েছে পুলিশের। এমনকি নুলিয়ারাও নজর রাখছেন, যাতে উত্তাল সমুদ্র পেরিয়ে কেউ না সমুদ্রের দিকে যেতে না পারেন। দু’-এক জন পর্যটক গার্ডওয়াল পেরিয়ে সমুদ্রে নামার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে সোমবার জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্র বাঁধ উপচে জল ঢোকে মন্দারমণি, জামড়া, শ্যামপুর, চাঁদপুর, জলধা ও তাজপুর এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজে নামে প্রশাসন। রবিবারের জলোচ্ছ্বাসে জামড়ার ফ্লাড শেল্টারের সামনে ভাঙন তীব্র আকার নেয়। সোমবারও সেখানে জলোচ্ছ্বাস হয়। তড়িঘড়ি বোল্ডার ফেলে ওই এলাকায় দ্রুত মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও শঙ্করপুরের কাছে, জলধা মৎস্য খটির কাছে বোল্ডার ফেলে সমুদ্রের ভাঙন রোধের কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। শুধু ভাঙন মেরামতি নয়, পর্যটকদের কথা ভেবে জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দারমণির পাকা সড়ক মেরামতির কাজও শুরু করেছে সেচ দফতর।

Advertisement

নুলিয়ারাও নজর রাখছেন, যাতে উত্তাল সমুদ্র পেরিয়ে কেউ না সমুদ্রের দিকে যেতে না পারেন।

আসলে দিঘা ও শঙ্করপুরে কংক্রিটের বাঁধ হওয়ায় মন্দারমণির দিকে জলোচ্ছ্বাস ও ভাঙন বেশি হচ্ছে। মন্দারমণিতেও পুরোটা কংক্রিটের গার্ডওয়াল হলে ভাল হয় বলে প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। সমুদ্রের পাশ দিয়ে মেরিন ড্রাইভের যে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, সেই রাস্তাও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এলাকার মানুষের অভিযোগ, সেচ দফতর ধীর গতিতে কাজ করছে। এ বার তেমন নাগাড়ে বৃষ্টি হয়নি। তাই বাঁধ কিছুটা মজবুত থাকায় তেমন বড় দুর্ঘটনা এখনও ঘটেনি। জোরালো বৃষ্টি হলে কিংবা বাঁধ ভাঙলে বিপর্যয় আটকানো যাবে না। তবে পর্যটকের ঢল কিন্তু বন্ধ হয়নি দিঘায়। বেশির ভাগ হোটেলই ভর্তি। পর্যটকরা পাড়ে বসেই ঢেউয়ের মজা নিচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন