West Bengal News

ভানুভবনে হামলার ঘটনায় বিমল গুরুং-সহ ৭২ জনের নামে চার্জশিট সিআইডির

দার্জিলিঙের ভানুভবনে হামলার ঘটনায় বিমল গুরুং, রোশন গিরি-সহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল সিআইডি। গত বছরের ৮ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকের পর ভানুভবনে হামলার ঘটনাটি ঘটে। তার পর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে পাহাড়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:৫৯
Share:

দার্জিলিঙের ভানুভবনে হামলার ঘটনায় বিমল গুরুং, রোশন গিরি-সহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল সিআইডি।— ফাইল চিত্র।

দার্জিলিঙের ভানুভবনে হামলার ঘটনায় বিমল গুরুং, রোশন গিরি-সহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল সিআইডি। গত বছরের ৮ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকের পর ভানুভবনে হামলার ঘটনাটি ঘটে। তার পর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে পাহাড়।

Advertisement

পরবর্তী সময়ে মোর্চার জঙ্গি আন্দোলন থামাতে গিয়ে পুলিশকর্মী অমিতাভ মালিকের মৃত্যুও ঘটে। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত ঘটনার মূল অভিযুক্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুং অধরাই রয়েই গিয়েছে। অবশেষে ঘটনার ১৮ মাস পর সোমবার দার্জিলিঙে-এর সদর কোর্টে চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। চার্জশিটে বিমল ছাড়াও, তাঁর স্ত্রী আশা গুরুং এবং ছেলে অভিষেকের নামও রয়েছে। তা ছাড়া রোশন গিরি, প্রকাশ গুরুং-সহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদেরও নাম রয়েছে সেই তালিকায়।

পাহাড়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করতে মাঝেমধ্যেই অডিও এবং ভিডিয়ো-র মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন বিমল। কিন্তু নিজে কখনও সামনে আসেননি। সিআইডি সূত্রে খবর, চার্জশিটে খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্ত নষ্ট, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারা যুক্ত করা রয়েছে। এই মামলার তদন্তে ৫০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: দিল্লিতে বৈঠক, কলকাতায় শুনানি, যাত্রার জন্য একাধিক কৌশল নিচ্ছে বিজেপি

আরও পড়ুন: ভল্ট থেকে সাড়ে ৮৪ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিলেন এই ব্যাঙ্ককর্মী!

হামলার ঘটনার পর, ৯ জুন দার্জিলিং সদর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিমল, প্রকাশ গুরুং, রোশন গিরি, অশোক ছেত্রি, ডি কে প্রধান, তিলক রোকা ও আশা গুরুং-দের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়া জারি হয়। ভানু ভবনেই জিটিএ-র দফতর। হামলার ফলে ফাইলপত্র নষ্ট হয়ে যায়। তার পর গুরুংকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিসের স্পেশ্যাল স্কোয়াড সিকিমে অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়। কারও কারও মতে, বিমল গুরুং এখনও সিকিমেই গা-ঢাকা দিয়ে আছেন। হামলার ঘটনার পর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দায়িত্ব নেয় বিনয় তামাং। বর্তমানে জি়টিএর বোর্ডের চেয়ারম্যান তিনি। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পাহাড় শান্তই রয়েছে।

(পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার খবর এবং বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকেবাংলায় খবরপেতে চোখ রাখুন আমাদেররাজ্যবিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন