নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগ জানিয়ে বৃহস্পতিবার তেলই তুলল না রাজ্যের অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প। তার জেরে গ্রাহকদের একাংশ আতঙ্কিত হয়ে লাইন দিলেন বিভিন্ন পাম্পে। তবে কোনও পাম্প এক জন গ্রাহককেও ফিরিয়ে দেয়নি। কারণ, এ দিন তেল না-তুললেও পাম্পগুলিতে যথেষ্ট জ্বালানি মজুত আছে বলে জানিয়েছে আন্দোলনকারী পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে এই আন্দোলন কয়েক দিন চললে রাজ্যে পেট্রোল-ডিজেলের সঙ্কট শুরু হবে বলে জানান অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা।
এ দিন অ্যাসোসিয়েশনের এক দল প্রতিনিধি নবান্নে গিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। মৌড়িগ্রাম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন তেল ডিপোয় দুষ্কৃতীরা হামলা করছে বলে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে নালিশ জানান ওই সংগঠনের নেতারা। সংগঠনের সভাপতি তুষার সেন পরে বলেন, ‘‘একেই বিভিন্ন ডিপোয় কম তেল দেওয়া হচ্ছে। তেলের মানও খারাপ। তার উপরে দুষ্কৃতীরা গাড়ি ঢুকতে দিচ্ছে না। এই সব কারণেই আমরা ডিপো থেকে তেল তোলা বন্ধ করে দিয়েছি।’’
স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে পাম্প-মালিকেরা দাবি করেন, তাঁদের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করবেন বলে বাসুদেববাবু আশ্বাস দিয়েছেন। তা হলে কি আজ, শুক্রবার তাঁরা আন্দোলন তুলে নিচ্ছেন?
তুষারবাবু জানান, কোন পথে এগোনো হবে, শুক্রবার সংগঠনের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের আশ্বাস, এখনই সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ ঘটেনি।